বরিশালে দুই শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

বরিশালের সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের শ্রমিকেরা দুই ঘন্টা ঢাকা–বরিশাল- কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। নগরের রূপাতলী এলাকায় মঙ্গলবার সকালে
ছবি: প্রথম আলো

বরিশাল নগরের রূপাতলী এলাকার সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের দুই শ্রমিককে অনৈতিকভাবে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগে আজ মঙ্গলবার মিলের সামনের মহাসড়ক আটকে রেখে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে সড়কের দুই প্রান্তে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন কয়েক হাজার যাত্রী।

ভুক্তভোগী দুই শ্রমিক হলেন আঁখি আক্তার ও মো. নূরুজ্জামান। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল সোমবার সকালে নূরুজ্জামান ও আঁখির মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম সরকার তাঁদের দুজনকে ডেকে চাকরিচ্যুত করেন।

বিষয়টি শ্রমিকদের মধ্যে জানাজানি হলে তাঁরা এর প্রতিবাদে আজ সকাল ৯টার দিকে কাজ বন্ধ করে দেন। শ্রমিকেরা মিলের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় মহাসড়কের দুই প্রান্তে অসংখ্য যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েন অসংখ্য যাত্রী।

সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম সরকার বলেন, দুই শ্রমিকের হাতাহাতির ঘটনা জানতে পেরে তাঁদের দুজনকে ডেকে পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, শ্রমিকেরা হঠাৎ কাজ বন্ধ করে দেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো অন্যায় করেনি।

এদিকে মহাসড়ক আটকে অবরোধ করে রাখার খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভূঞা পুলিশের অন্য কর্মকর্তাদের নিয়ে সেখানে যান। তিনি সেখানে মিল মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের দাবিদাওয়া পূরণের আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন। পরে বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকেরা কাজে ফিরে যান। এরপর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।