বিদেশি নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার
থাইল্যান্ডের নাগরিক এক নারীকে (৪০) ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে ফেনীতে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় মোখসুদুর রহমান (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার তাঁকে ফেনী সদর উপজেলার শর্শাদি ইউনিয়ন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।
গতকাল ফেনী সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করা হয়। মামলায় মোখসুদুর রহমানের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, থাইল্যান্ডের বাসিন্দা ওই নারী হংকংয়ে ব্যবসা করতেন। এর সূত্রেই সেখানে মোখসুদুরের সঙ্গে পরিচয়। ভিসা জটিলতায় মোখসুদুর গ্রেপ্তার হয়ে হংকংয়ে কারাগারে ছিলেন। তখন তাঁকে কারামুক্ত হতে সাহায্য করেন ওই নারী। কারামুক্ত হয়ে মোখসুদুর রহমান বাংলাদেশে চলে আসেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশে ডেকে এনে গত বছরের ১২ অক্টোবর তাঁকে মোখসুদুর ধর্ষণ করেছেন বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন থাইল্যান্ডের ওই নারী।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, মোখসুদুরকে ব্যবসার জন্য ২ লাখ ১০ হাজার হংকং ডলার ও বেশ কিছু স্বর্ণালংকার দিয়েছেন ওই নারী। ধর্ষণের ঘটনার পর নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার সময় তিনি এসব টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য মোখসুদুরকে বলেন। পুনরায় বাংলাদেশে এসে গত রোববার মোখসুদুরের বাড়িতে গেলে তাঁকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন লোকজন। এ সময় ওই নারীর ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সামসুজ্জামান বলেন, মোখসুদুরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে তাঁর ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।