‘পরীক্ষা দিয়া মেয়েটা আর ফিরল না’
পরীক্ষা শেষে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন কলেজছাত্রী ফরিদা আক্তার (২০)। পথে মোটরসাইকেলটির পেছনে ধাক্কা দেয় একটি কাভার্ডভ্যান। এতে ফরিদা ছিটকে সড়কে পড়ে মাথায় আঘাত পান। পরে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
গতকাল সোমবার বিকেলে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সদরের জাঙ্গিরাই চত্বর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফরিদা বড়লেখা উপজেলার পূর্ব দক্ষিণভাগ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল আহাদের মেয়ে। তিনি জুড়ী উপজেলা সদরে অবস্থিত তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজের স্নাতক (পাস) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বেলা দেড়টার দিকে ফরিদার ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। এতে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি সকালে কলেজে যান। বিকেলে পাঁচটার দিকে পরীক্ষা শেষে ছোট ভাই ফরহাদ আহমদের (১৮) সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে জাঙ্গিরাই চত্বরে কাভার্ড ভ্যান মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে পেছনের সিট থেকে ফরিদা ছিটকে সড়কে পড়ে যান। তাঁকে আহত অবস্থায় প্রথমে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে সিলেটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ফরিদার বাবা আবদুল আহাদ স্থানীয় দক্ষিণভাগ বাজারের একটি ডেকোরেটর (সাজসজ্জা) দোকানের কর্মী। আজ মঙ্গলবার সকালে তিনি মুঠোফোনে কথা বলার সময় হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা দিয়া মেয়েটা আর ফিরল না।’ মেয়ের লাশ সিলেটে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি বাড়িতে নিয়ে আসবেন।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, গতকাল সোমবার রাতে তাঁরা এ দুর্ঘটনার খবর পান। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।