নাটোরে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে তরুণকে যাবজ্জীবন

ধর্ষণ ও অপহরণের দায়ে দণ্ডিত সাব্বির আলী। সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে
ছবি: প্রথম আলো

নাটোরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অপরাধে এক তরুণকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ধর্ষণের আগে বাড়ি থেকে অপহরণ করার দায়ে ওই তরুণকে অপর একটি ধারায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুটি সাজাই একসঙ্গে চলবে। নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আবদুর রহিম আজ সোমবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত তরুণের নাম সাব্বির আলী (২৩)। তিনি নাটোরের লালপুর উপজেলার বাসিন্দা। রায় ঘোষণার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসামির উপস্থিতিতে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। বিচারক রায়ের সারাংশ পড়ে শোনান। রায়ে আসামিকে ধর্ষণ ও অপহরণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নাটোরের লালপুর উপজেলায় ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর ভুক্তভোগীর বাবা-মা তাঁদের দুই মেয়েকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে যান। আসামি ওই দিন রাত ১০টার দিকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভুক্তভোগী কিশোরীকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগীকে পুলিশ উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামত পায়।

এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে লালপুর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে লালপুর থানার উপপরিদর্শক রেজাউল ইসলাম ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসে। আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রধান আসামি সাব্বির আলীকে দণ্ড দেন এবং অপর দুই আসামি আবদুল মান্নান ও মুক্তার হোসেনকে খালাস দেন।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান দণ্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, দুটি আলাদা অপরাধে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত আলাদা দণ্ড দিয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন (২২ বছর) কারাদণ্ড ও অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। উভয় দণ্ড আসামি একই সঙ্গে ভোগ করবেন বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন।