বাউফলে এজেন্টকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর হয়ে কাজ করায় এক এজেন্টকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাতে আয়লা বাজারসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত ওই এজেন্টের নাম মো. শহিদুল ইসলাম (৫০)। তাঁর দাবি, কনকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন হাওলাদারের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী এ হামলা চালিয়েছে।

এ ঘটনার পর শাহীন হাওলাদারের বাসভবন ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন এর সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় অলিখিত অভিযোগ হয়েছে। শাহীন হাওলাদার নজরদারিতে আছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহিদুল স্থানীয় বীরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের সমর্থক ও এজেন্ট ছিলেন শহিদুল। ওই প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খানের সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শহিদুলের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আয়লা বাজার এলাকায় নির্বাচনী কাজ শেষ করে ওই রাতে বাড়ি ফিরছিলেন শহিদুল। রাত সাড়ে সাতটার দিকে শহিদুলের পথ রোধ করেন শাহীন হাওলাদার ও তাঁর লোকেরা। এ সময় শহিদুলের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই রাতেই তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হামলার বিষয়ে শহিদুল বলেন, তাঁকে বিভিন্ন সময় ঘোড়া প্রতীকের নির্বাচন না করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলেন আনারস প্রতীকের সমর্থক শাহীন হাওলাদার। তিনি (শহিদুল) ঘোড়া প্রতীকের এজেন্ট হওয়ার কারণেই দলবল নিয়ে এ হামলা চালিয়েছেন শাহীন।

ওই হামলায় শহিদুলের বাঁ হাতের কবজির নিচের অংশের অনেকগুলো রগ কেটে গেছে বলে জানান বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ভাস্কর পাল ওরফে বাপ্পি। তিনি বলেন, ‘তাঁর (শহিদুল) হাতের অবস্থা খুবই খারাপ। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) সাদ্দাম হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক আছে।