শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ ফটকের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালক ও উপপরিচালকের কক্ষের দরজায় লাগানো তালা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কলেজ গেটের সামনে চলা বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, যেহেতু রাজনৈতিক নেতারা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আশ্বাস দিয়েছেন, তাই শিক্ষার্থীরা তাঁদের প্রতি আস্থা রেখে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সব ইন্টার্ন চিকিৎসককে তাঁদের নিজ নিজ কাজে ফিরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারসহ অন্যান্য দাবি পূরণ না হলে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা আবারও কর্মবিরতির কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ ফটকের সামনে
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁদের তিন দফা দাবির প্রথম দাবি ছিল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করা। বুধবার রাতে পুলিশ এজাহারভুক্ত চার আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অজ্ঞাত ৫০ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজনকে। দ্বিতীয় দাবি ছিল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুটি মডেল ফার্মেসি স্থাপন করা। আর তৃতীয় দাবি ছিল কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসের মধ্যে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা। ইতিমধ্যে প্রশাসন আসামিদের গ্রেপ্তারে উদ্যোগ নিয়েছে, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় দাবি মেনে নিয়ে একটি মডেল ফার্মেসি স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে। তৃতীয় দাবিটিও পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ কারণে সাময়িকভাবে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গেটের সামনের ওষুধের দোকান মালিক জিল্লুর রহমান বলেন, বিষয়টি তাঁরা রাজনৈতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করছেন। রাতে তাঁরা ওষুধ ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনায় বসবেন। সেখান থেকে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন