পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে খুনের মামলায় একমাত্র আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মো. আল আমিন (২৭) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সদর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার হয়। আল আমিনকে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীতে নিয়ে আসা হচ্ছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সাজেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদাবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে নৃশংস খুনের শিকার হন সত্তরোর্ধ্ব কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম (৪৮) নামের দুই নারী। এ ঘটনায় নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে ও বৃদ্ধ কুলসুম বেগমের ছেলের ঘরের নাতি আল আমিন জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি।
ভুক্তভোগী পরিবারের বরাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার আল আমিন ওই এলাকার বাসিন্দা রাজ্জাক খাঁর ছোট ছেলে। আর নিহত সাহিদা বেগম রাজ্জাকের চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পুরুষ সদস্যরা জুমার নামাজ পড়তে যান। এ সময় ফাঁকা বাড়ি পেয়ে আল আমিন ঘরে থাকা একটি ধারালো দা দিয়ে দুজনকে গলা কেটে বাড়ির আঙিনায় ফেলে পালিয়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। পরে খবর পেয়ে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তসহ বাকি আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুলিশ।
এ ছাড়া পরদিন শনিবার ইসমাইল মোল্লা নামের এক ব্যক্তি আল আমিনকে একমাত্র আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেন।
ওই বাড়ির বাহাদুর আলম খাঁর দাবি ছিল, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। এর ফলে একই সঙ্গে দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটে।