মেহেরপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

মেহেরপুর জেলার মানচিত্র

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মেহেরপুর-১ (মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল মান্নানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার মেহেরপুরের দায়রা জজ আদালতের যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির জেলা শাখার সভাপতি মো. কবির হোসেন তাঁকে এ নোটিশ পাঠান। ১৬ ডিসেম্বর সশরীর অথবা তাঁর প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আবদুল মান্নান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য। নোটিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিবাজারে সিরাজ হোসেনের কীটনাশক ও সারের দোকানের সামনে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান। এ ছাড়া ৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার আশরাফপুর জনকল্যাণ ক্লাব ও হঠাৎপাড়ার জহিরের দোকানের সামনে নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন তিনি, যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিতে একটি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এর আগে ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ নেই। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ১২ ধারায় বলা আছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তাঁর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না।

অধ্যাপক আবদুল মান্নান ১৯৯১-৯৬ ও ১৯৯৯-২০০১ মেয়াদে মেহেরপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন, জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বাবুল জাম, জাকের পার্টির সাইদুল আলম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির তরিকুল ইসলাম।

এর আগে সরকারি প্রটোকলে নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত হওয়ার অভিযোগে মেহেরপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল জেলা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।