যশোরে বাড়ি ফেরার পথে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জিল্লুর রহমানছবি: সংগৃহীত

যশোর সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওরফে শিমুলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সদর উপজেলার গোবিলা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত জিল্লুর রহমান সদর উপজেলার গোবিলা গ্রামের মোকলেচুর রহমানের ছেলে। তিনি স্থানীয় আমবটতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, চূড়ামনকাঠি এলাকায় রাজনৈতিক দুটি পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। জিল্লুর রহমান একটি পক্ষের অনুগত হিসেবে চলাফেরা করতেন। এ কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে হত্যা করতে পারে। এর মধ্যে দুই দিন আগে রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়িতে ফেরার সময় হেডলাইট জ্বালানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জিল্লুরকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, আজ বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এলাকার তরিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন জিল্লুর রহমান। সেখানে ওত পেতে থাকা লোকজন আকস্মিকভাবে তাঁর ওপরে হামলা করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। জিল্লুর রহমানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে চলে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে যান।

নিহত জিল্লুরের স্ত্রী নাসিমা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে জিল্লুর রহমানের দ্বন্দ্ব চলছিল। তাঁরা জিল্লুরকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি বাইরে থেকে বাড়ির উদ্দেশে আসছিলেন। পথিমধ্যে ওই সন্ত্রাসীরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুর রহমান জানান, স্থানীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিল্লুর রহমানকে কোপানো হয়েছে। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, মোটরসাইকেলের হেডলাইট জ্বালানো নিয়ে বিরোধের জেরে জিল্লুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত ব্যক্তির লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হবে। খুনিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।