শেখ হাসিনার জন্মদিনে চেয়ারে বসা নিয়ে আ.লীগের দুপক্ষের হাতাহাতি

যশোরে শেখ হাসিনার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির দৃশ্য। বুধবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নেতাদের বসাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দলের নেতাদের চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসানের সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোলের একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ দুপুরে শহরের গাড়িখানার দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠান শুরুর আগে উপস্থিত হন পৌর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে তাঁর সমর্থকেরা দলীয় কার্যালয়ে আসেন।

এ সময় চেয়ারে বসা নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

জানতে চাইলে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সংবাদ করার মতো কিছু নয়।

এদিকে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান বলেন, ‘শহিদুল ইসলাম আমার বাবার বয়সী মানুষ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আমাদের অভিভাবক।  তিনি হঠাৎ মাথা গরম করেন। তবে আমি ভুলে গিয়েছি।’

দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ দুই অংশে বিভক্ত। একটি অংশের নেতৃত্ব যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এবং অপর অংশের নেতৃত্বে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের এবং মাহমুদ হাসান সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে একটু বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে। এর বাইরে কিছু না।