ছুটিতে ৬ মহানগরে ঘুরবেন কোথায়

সবুজের প্রাচুর্যে ভরা সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ছড়িয়ে আছে দৃষ্টিনন্দন সব পর্যটনকেন্দ্রছবি: প্রথম আলো

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখ মিলিয়ে লম্বা ছুটি এবার। পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব মিলে ঘুরতে বের হবেন অনেকেই। যাবেন কোনো পার্ক বা দর্শনীয় স্থানে, কিংবা পাহাড়, টিলা, হ্রদের কাছে, নদীর পাড়ে। রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল এই ৬ মহানগরীর মানুষ কোথায় ঘুরতে পারেন তা নিয়েই এই আয়োজন।

সিলেট

ধোপাদিঘি ওয়াকওয়ে: নগরের অভ্যন্তরে ধোপাদিঘি পুকুরের নামেই এলাকার নাম ধোপাদিঘির পাড়। পুকুরে নৌকায় চড়ে বেড়াতে পারবেন দর্শনার্থীরা। নৌকাভেদে খরচ ঘণ্টায় ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। অটোরিকশায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অথবা রেলওয়ে স্টেশন থেকে সেখানে যেতে ভাড়া লাগবে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। ঈদের ছুটিতে সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে ওয়াকওয়ে।

সিলেটের টিলাগড় ইকোপার্ক
ছবি: প্রথম আলো

বঙ্গবীর ওসমানী শিশু উদ্যান: নগরের ধোপাদিঘির পাড় এলাকায় বঙ্গবীর ওসমানী শিশু উদ্যান। উদ্যানে শিশুদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা। উদ্যানে রয়েছে রোলার কোস্টার, রেলগাড়ি, পাইরেট শিপ, স্লিপার রাইড, সিসরাইড, বোট, টুইস্টার, বাম্পার কার, দোলনা, ফ্লাইং চেয়ার, নাগরদোলা, জাম্পিং ফ্রগ, মিনি ফ্লাওয়ার কাপ, মিনি বাম্পার কার, বেবি হর্স, স্পেসশিপ প্রভৃতি। উদ্যানে প্রবেশের জন্য ৩০ টাকার টিকিট কাটতে হবে। রাইডের জন্য আলাদা ৩০ ও ৫০ টাকার টিকিট রয়েছে।

টিলাগড় ইকোপার্ক: বিনোদনের জন্য নগরের অভ্যন্তরে ২০১৭ সালে চিড়িয়াখানার আদলে তৈরি করা হয়েছিল বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র টিলাগড় ইকোপার্ক। টিলাগড় এলাকায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই টিলাগড় ইকোপার্কের অবস্থান। ইকোপার্কে প্রবেশে শিশুদের ১০ টাকার টিকিট এবং বড়দের ২০ টাকার টিকিট কাটতে হয়।

ময়মনসিংহ

ভ্রমণপিপাসু অনেকে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকায় ঘুরে বেড়ান
ছবি: প্রথম আলো

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: ১ হাজার ২০০ একর আয়তনের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পাশে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ। সবুজে ছাওয়া এ ক্যাম্পাসে শীত আর বসন্তে ফুটে নানা ফুল। এ ক্যাম্পাসে রয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেন। মাত্র ১০ টাকার টিকিটের বিনিময়ে ঘুরে দেখা যায় এ বোটানিক্যাল গার্ডেন।

রাজশাহী

ওডভার মুনক্সগার্ড পার্ক: এটি পদ্মা গার্ডেন নামে বেশি পরিচিত। উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে এই পার্কে দর্শনার্থীরা একটু বেশিই যান। এখানে রয়েছে বসার জন্য নির্ধারিত স্থান। পাওয়া যায় মুখরোচক নানা খাবার। নগরের প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে দক্ষিণে পাঁচ মিনিটের মতো হাঁটলেই এই পার্ক।

লালন শাহ মুক্তমঞ্চ: লালন শাহ মুক্তমঞ্চে বিকেল থেকে প্রচুর লোকসমাগম হয়। পদ্মা নদীর তীরঘেঁষা উন্মুক্ত একটি বিনোদন কেন্দ্র। বিকেলের দিকে নানা রকম অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। এর ঠিক পাশেই নোঙর রেস্তোরাঁ।

রংপুর

তাজহাট জমিদারবাড়ি: নগরের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত তাজহাট জমিদারবাড়ি জাদুঘর। নিরিবিলি সুনসান পরিবেশ। এটি নির্মাণ করেছেন মহারাজা কুমার গোপাল লাল রায়। এখানে প্রবেশের টিকিট ২০ টাকা।

ঐতিহাসিক তাজহাট জমিদারবাড়িতে ঘুরে বেড়ান অনেকে
ছবি: প্রথম আলো

প্রয়াস: নগরের নিসবেতগঞ্জ এলাকায় ‘প্রয়াস’ বিনোদন পার্কটি গাছের ছায়ায় ঘেরা। বিনোদনকেন্দ্র লাগোয়া ঘাঘট নদ। পার্কে প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা।

বরিশাল

ত্রিশ গোডাউন: মূলত কীর্তনখোলা নদীর পাড় ঘিরে খাদ্য বিভাগের ৩০টির বেশি খাদ্যগুদাম গড়ে ওঠায় এ এলাকার নামকরণ হয় ত্রিশ গোডাউন। এই ত্রিশ গোডাউনকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে ত্রিশ গোডাউন রিভারভিউ পার্ক ও বধ্যভূমি। মুখরোচক খাবারতো আছেই। নদীভ্রমণের জন্য ট্রলার ও নৌকা আছে। ঘণ্টা হিসাবে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা লাগবে।

বরিশালে শিশুদের বিনোদনের জন্য আছে প্ল্যানেট পার্ক
ছবি: প্রথম আলো

প্ল্যানেট পার্ক: বরিশালে যত শিশু বিনোদনকেন্দ্র রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম বান্দরোডের প্ল্যানেট পার্ক। পার্কে প্রবেশ ফি ৩৫ টাকা। ভেতরে রয়েছে শিশুদের জন্য ৮টি রাইড। প্রতিটি রাইডের জন্য টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা। তবে ঈদের দিনসহ এর পরের কয়েক দিন ভিড় বেশি হওয়ায় রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

খুলনা

শেখ রাসেল ইকোপার্ক: লবণচরার মাথাভাঙ্গা এলাকায় পার্কটির অবস্থান। খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) ও রেলসেতুর নিচ দিয়ে দক্ষিণ দিকে গেলেই পড়ে শেখ রাসেল ইকোপার্ক। পার্কের এক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কাজিবাছা নদী। পার্কটি প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা। পার্কের প্রবেশমূল্য ২০ টাকা।