নবাবগঞ্জের এক কিলোমিটার সড়কে ২৭ গর্ত, ভোগান্তি 

 প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে কোথাও বড় গর্ত, কোথাও খানাখন্দ, কোথাও সড়কের মধ্যে গর্তে জমে আছে পানি।

সড়কের এক কিলোমিটারজুড়ে কার্পেটিংয়ের চিহ্নও খুঁজে পাওয়া কঠিন
ছবি: প্রথম আলো

মাত্র এক কিলোমিটার বেহাল সড়কের কারণে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতে দুর্ভোগ কাটছে না। দীর্ঘদিন ধরেই বান্দুরা বাসস্ট্যান্ড থেকে পিত্ততলা পর্যন্ত সড়কটি বেহাল। প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে কার্পেটিংয়ের চিহ্নও খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোথাও বড় গর্ত, কোথাও খানাখন্দ, কোথাও সড়কের মধ্যে গর্তে জমে আছে বৃষ্টির পানি।

গত বৃহস্পতিবার ওই সড়কে সরেজমিনে দেখা যায়, মাঝিরকান্দা মহব্বতনগর থেকে বান্দুরা হলিক্রস স্কুলের আগপর্যন্ত রয়েছে ছোট-বড় প্রায় ২৭টি গর্ত। এ ছাড়া হলিক্রস স্কুল থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিটার জায়গাজুড়ে সড়কের পলেস্তারা উঠে গিয়ে ইটের খোয়া ও মাটি বেরিয়ে আছে। এই সড়কের বান্দুরা বাজার সড়কের ভেতরকার অবস্থাও ভয়ানক। প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে কোথাও বড় গর্ত, কোথাও খানাখন্দ, কোথাও সড়কের মধ্যে গর্তে পানি জমে আছে।

বান্দুরা হলিক্রস স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলাম বলে, ‘আমাদের স্কুলের সামনের সড়কটি গর্ত দিয়ে ভরা। অনেক রিকশাচালক এখানে আসতেই চান না। তাঁদের অনুরোধ করে নিয়ে আসতে হয়। এতে অনেক সময় ক্লাসে আসতে দেরি হয়ে যায়। সড়কটি ভালো করা হলে আমরা উপকৃত হব।’

সড়কটি বেহালের কারণে বান্দুরা বাজারে ক্রেতা কমে গেছে বলে জানালেন ব্যবসায়ী খবির মিয়া। তিনি বলেন, ‘সড়কে গর্ত থাকার কারণে বাজারে ক্রেতা আসা অনেক কমে গেছে। তাঁরা আমাদের বাজারে না এসে আশপাশের অন্য বাজারে চলে যান। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমাদের সব ব্যবসায়ীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার করা হোক।’

স্থানীয় অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক কিলোমিটার জায়গাজুড়ে সড়কটি বেহালের কারণে মাঝিরকান্দা-বান্দুরা সড়ক এড়িয়ে চলেন তাঁরা। অটোরিকশাচালক আলাউল মিয়া বলেন, এই সড়কে গাড়ি চালাতে গেলে অনেক ঝাঁকি খেতে হয়। প্রায় সময় ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গাড়ির চাকারও ক্ষতি হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত সড়কটি মেরামত করে দেওয়া হোক। বান্দুরা এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, মাঝিরকান্দা-বান্দুরা সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থী, এলাকাবাসীসহ সবাই দুর্ভোগে পড়েছেন। সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় যানবাহনের চালকেরাও অতিরিক্ত টাকা ভাড়া নেন। জনগণের স্বার্থে অতিসত্বর সড়কটি সংস্কার করা উচিত।

এই সড়কের সংস্কারকাজের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানালেন বান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার হক চৌধুরী বলেন, মাঝিরকান্দা-বান্দুরা সড়কটি সংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে দরপত্র হয়ে গেছে। ৩১ জুলাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হবে। আশা করা যায় অতিসত্বর সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে।