সিলেটে সংরক্ষিত এলাকা থেকে বালু-পাথর লুটের অভিযোগে ইউপি সদস্য বরখাস্ত

সংরক্ষিত রোপওয়ে এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন করে নেওয়া হচ্ছে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জেফাইল ছবি: প্রথম আলো

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারিসংলগ্ন রেলওয়ের রজ্জুপথের (রোপওয়ে) সংরক্ষিত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর তোলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত মো. দুলাল মিয়া ওরফে দুলা সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

১৪ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. নূরে আলম প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। এ–সংক্রান্ত চিঠি সম্প্রতি পেয়েছেন বলে আজ সোমবার নিশ্চিত করেছেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার।

ইউপি সদস্য সদস্য মো. দুলাল মিয়া
ছবি: সংগৃহীত

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. দুলাল মিয়া দুলার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটের বিষয়ে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেছেন। দুলাল মিয়া কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪) (খ) ধারায় অপরাধ সংঘটিত করায় একই আইনের ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী মো. দুলাল মিয়াকে তাঁর ওয়ার্ড সদস্য পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

আরও পড়ুন

এদিকে উপসচিবের স্বাক্ষরিত আরেক পত্রে দুলাল মিয়াকে কেন চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিলেটের স্থানীয় সরকার উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি সদস্য দুলাল মিয়াকে কেন চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, এর জবাব দিতে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি গতকাল রোববার তিনি পেয়েছেন। সেটি ওই সাময়িক বহিষ্কৃত ইউপি সদস্যকে পাঠানো হবে। তাঁকে চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে।

কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার প্রথম আলোকে বলেন, এ–সংক্রান্ত চিঠি তিনি সম্প্রতি পেয়েছেন। দুলাল মিয়া দুলার বিরুদ্ধে রেলওয়ের রজ্জুপথের (রোপওয়ে) সংরক্ষিত এলাকা থেকে বালু-পাথর লুটপাটের অভিযোগ উঠেছিল। সেটি জেলা প্রশাসনের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

আরও পড়ুন