ফরিদপুরে পুলিশের মামলায় বিদেশে থাকা বিএনপির ২ নেতাও আসামি

মামলার ২১ নম্বর আসামি গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া (বাঁয়ে) ও ১৮ নম্বর আসামি মো. সেলিম হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে হামলার ঘটনায় বিএনপির ৩১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। আসামিদের মধ্যে বর্তমানে দুজন বিদেশে আছেন। সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে মামলাটি করেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাবুল করিম।

বিদেশে থাকা আসামিরা হলেন মামলার ২১ নম্বর আসামি গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া ওরফে রতন (৪৮) ও ১৮ নম্বর আসামি মো. সেলিম হোসেন ওরফে ভিপি সেলিম (৪৫)। এর মধ্যে গোলাম রব্বানী শহরের টেপাখোলা মহল্লার বাসিন্দা ও ফরিদপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। আর সেলিম ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) ও জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন।

আরও পড়ুন

মামলার বাদী এসআই মাহাবুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, হামলার সময় তিনি ওই দুজনকে দেখেছেন বলে মনে হয়েছে। তবে এটা ভুলও হতে পারে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গোলাম রব্বানীর স্ত্রী ফাতেমা ফারহানা প্রথম আলোকে বলেন, গোলাম রব্বানী ২৯ নভেম্বর রোটারি ক্লাবের এক সম্মেলনে যোগ দিতে আরব আমিরাতে গেছেন। ১০ ডিসেম্বর তাঁর দেশে ফিরে আসার কথা।

আরও পড়ুন

সেলিমের বড় ভাই গেরদা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আরিফ হোসেন বলেন, সেলিমের ছেলের বয়স ছয় মাস। ছেলের হার্টে ছিদ্র ধরা পড়েছে। এ জন্য সপ্তাহখানেক আগে সেলিম ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ে গেছেন। ছেলের চিকিৎসা করে ফিরতে তাঁর আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ ইমদাদ হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি দেখছি।’

গতকাল বিকেলে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ করে কর্মসূচি পণ্ড করে দেওয়া হয়। ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশের দাবি, বিএনপির দলীয় কোন্দলের কারণে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মসূচিতে হামলা চালায়। দ্বন্দ্বের কথা বলে পুলিশ শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে।

মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৪০–৫০ জনকে। গতকাল দুপুরে আটক হওয়া বিএনপির ৬ কর্মী এবং গতকাল রাতে আটক করা ১০ জনসহ মোট ১৬ জনকে আসামি হিসেবে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।