বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসছবি: প্রথম আলো

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতির সময় কর্মকর্তাদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিউল আলমকে আহ্বায়ক ও রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. খোরশেদ আলম ও একই বিভাগের অপর সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজ আলমকে সদস্য করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এর আগে গতকাল বিকেলে আরেক চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেকোনো কর্মসূচি পালনের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করে নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বলা হয়, প্রক্টর কার্যালয়ের অনুমতি ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করা যাবে না।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আবদুল কাইউম আজ বুধবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় উপাচার্যের নির্দেশে ওই নোটিশ জারি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় যাঁরা দায়ী, তাঁদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি গত সোমবার থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম বর্জন করে ধর্মঘটে করছে। এতে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের একটি পক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে কর্মকর্তারা কর্মবিরতি শুরু করেন। তাঁদের কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে পৃথক কর্মসূচি পালন করতে সেখানে আসে অপরপক্ষ। দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও মারামারির ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া আজ বুধবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় যাঁরা দায়ী, তাঁদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

এদিকে সর্বজনীন পেনশন ‌প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে আজও কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা। তাঁরা সকাল থেকেই একাডেমিক ভবনের নিচতলায় এ কর্মসূচি শুরু করেন।