পটুয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম

পটুয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাইফুলের সংবাদ সম্মেলন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে
ছবি: প্রথম আলো

পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাইফুল ওরফে সোহাগ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার তৌহীদুর রহমান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শামীম আল সাইফুল বলেন, ‘বিভিন্ন সময় দুর্যোগ-মহামারিতে আমি সাধ্যমতো জনগণের পাশে ছিলাম। এখনো আমি প্রতিনিয়ত কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, মহিপুর ও কুয়াকাটার জনগণের পাশে থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। করোনার মতো অতিমারির সময় আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্যসহ চিকিৎসা উপকরণ দিয়ে মানুষকে সহায়তা করেছি। এসব কারণ আমি নিজেকে একজন যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ সোলায়মান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রাশেদ খান, কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেন, পৌর যুবলীগের সহসভাপতি শেখ মোহাম্মদ যুবরাজ, কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. সুমন তালুকদার প্রমুখ।

দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে শামীম আল সাইফুল আরও বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম। ২০২৪ সালে অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তুলনামূলক নবীন, সৎ ও জনপ্রিয় ব্যক্তিকে দলের মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে। দলীয় সভানেত্রী বিগত দিনে আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য আমাকে মনোনীত করবেন বলে বিশ্বাস করি।’

পটুয়াখালী-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মো. মহিববুর রহমান। তিনি ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আগামী নির্বাচনেও প্রার্থী হতে তিনি এলাকায় গণসংযোগসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ চালিয়ে যাচ্ছেন।

মহিববুর রহমান ছাড়াও এই আসনে দলের মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের আরও অন্তত আটজন নেতা। তাঁরা মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে ব্যানার-ফেস্টুন টানানো ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি উপজেলার প্রান্তিক হাটবাজারে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মো. আনোয়ার উল ইসলামের ছেলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক আবদুল্লাহ আল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. হাবিবুর রহমান, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ নাসির উদ্দিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি মুরসালিন আহম্মেদ, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুনায়েদ মোহাম্মদ হাসিব।