লাশ
প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় আমবাগান থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের সায়েদ চেয়ারম্যানপাড়া এলাকার একটি আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূর পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

নিহত নারীর নাম সাদেকা বেগম (৩৫)। তিনি উপজেলার চৌরঙ্গী বাজারের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আবদুস সামাদের মেয়ে এবং নীলফামারী জেলার দারোয়ানী এলাকার সলেমান মিস্ত্রির (৪৫) স্ত্রী।

সাদেকা বেগমের স্বামী সুলেমান মিস্ত্রি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে সাদেকা বেগম বাড়ি থেকে বের হন। অনেক রাতেও তিনি বাড়ি না ফেরায় সুলেমান তাঁর শাশুড়িকে ফোন করে জানতে পারেন, সাদেকা সেখানেও যাননি। রাতভর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে তিনি ব্যর্থ হন। পরে আজ সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে পারেন, চেয়ারম্যানপাড়ায় আমবাগানে তাঁর স্ত্রীর লাশ পড়ে আছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোদাদাদ হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। নিহত নারীর পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সাদেকার প্রথম স্বামী গা ঢাকা দিয়েছেন। অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।

সাদেকা বেগমের প্রথম স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর আলম (৪০)। তাঁর বাড়ি খানসামা উপজেলার চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায়। ওই সংসারে সাদেকার তিনটি সন্তান রয়েছে। বছরখানেক আগে জাহাঙ্গীর ও সাদেকার মধ্যে কলহ শুরু হয়। পরে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। এর কিছু দিন পর নীলফামারী জেলার দারোয়ানী এলাকায় সুলেমান মিস্ত্রির সঙ্গে সাদেকা বেগমের বিয়ে হয়।