সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

মরদেহ
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বাসায় গ্যাসের পাইপলাইনের লিকেজ থেকে জমা হওয়া গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত কিশোরীর নাম জান্নাতি আক্তার (১৮)। মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জান্নাতির বড় বোন রহিমা বেগম (৩৫)।

নিহত দুই বোন পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার দক্ষিণ চরখালী গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে। এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, চিকিৎসাধীন দগ্ধ জান্নাতি আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এর আগে সোমবার দুপুরে রহিমা বেগমের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনায় দগ্ধ আরও দুজন চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে জানান, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাঁদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ বাগপাড়া এলাকায় একটি টিনশেডের বাড়িতে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় পুরো বাড়িতে আগুন ধরে যায়। এতে ওই পরিবারের এক শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হন। আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান।

দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন বাঘপাড়া এলাকার নূর মোহাম্মদের স্ত্রী সুখী আক্তার (৩৩), তাঁর মেয়ে সাদিয়া (১০), সুখীর বোন জান্নাতি আক্তার (১৮), ভাই আরিফ হাওলাদার (২১), ফুপাতো বোন রহিমা আক্তার (৩২) ও রহিমার মেয়ে ঋতু আক্তার (১৩)।

দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে রহিমাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া সুখী আক্তারের ১৭ শতাংশ, জান্নাতি আক্তারের ১৫ শতাংশ ও ঋতু আক্তারের ১০ শতাংশ শরীর পুড়েছে। তাঁদের ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে মারা গেলেন জান্নাতি আক্তার। অন্য দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।