নরসিংদীতে জ্যান্ত কই গলায় ঢুকে কৃষকের মৃত্যু

গলার ভেতরে জ্যন্ত কই মাছ ঢুকে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কৃষক মিয়া চানকে হাসপাতালে আনা হয়। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগেছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীতে মাছ ধরার সময় গলার ভেতরে জ্যন্ত কই মাছ ঢুকে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

এর আগে রাত আটটার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার বালুসাইর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় একটি নালা-সংলগ্ন কৃষিজমিতে মাছ ধরার সময় গলায় কই মাছ ঢুকে যায়।

মারা যাওয়া কৃষকের নাম মিয়া চান (৪৮)। তিনি একই এলাকার মৃত তারব আলীর ছেলে।

মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাওছার আহমেদ বলেন, গলায় জ্যান্ত কই মাছ আটকে কৃষক মিয়া চানের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়েছেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মাঝপথ থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে লাশ নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন তাঁর স্বজনেরা। এটি দুর্ঘটনা। এমন মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝড়–বৃষ্টির সময় নালাটিতে মাছ আসে। গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে কালবৈশাখী শুরু হলে ওই নালায় ও কৃষিজমিতে কই মাছ লাফালাফি করছিল। রাত আটটার দিকে একাই সেখানে হাতিয়ে কই মাছ ধরতে যান মিয়া চান। এ সময় একটি কই তাঁর হাতে ধরা পড়ে। তবে মাছ রাখার কোনো পাত্র সঙ্গে না থাকায় কই মাছটি মুখে কামড়ে আটকে রেখে আরেকটি মাছ ধরার চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যে কই মাছটি তাঁর মুখের ভেতর ঢুকে গিয়ে গলায় আটকে যায়। তিনি চিৎকার শুরু করেন। আশপাশের লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা এসে মিয়া চানকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে স্বজনেরা অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহমুদুল কবির বাসার বলেন, গতকাল রাতে মিয়া চান নামের একজন রোগীকে তাঁর স্বজনেরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে কী ঘটেছিল তিনি জানেন না।

কৃষক মিয়া চানের দুই ছেলে কাইয়ুম মিয়া ও ইব্রাহীম মিয়া বলেন, গলায় আটকে যাওয়া কই মাছটি বের করে আনা সম্ভব হয়নি।