গভীর রাতে বাড়িতে পুলিশ দেখেই দৌড়, পরে বিলে মিলল লাশ

নিহত সাইফুল ইসলামসংগৃহীত

মামলার আসামি হওয়ায় সাইফুল ইসলামকে (৪০) গ্রেপ্তার করতে তাঁর বাড়ি যায় পুলিশ। তবে পুলিশ দেখে দৌড়ে পালিয়ে যান তিনি। তাঁকে না পেয়ে পুলিশ ফিরে গেলে পরিবারের লোকজন খুঁজতে গিয়ে দেখেন বাড়ির পাশে বিলে পড়ে আছে তাঁর লাশ।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের দরগা রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির স্বজনদের দাবি, পুলিশের কাছ থেকে পালানোর সময় সাইফুলের পথ আটকে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে মারধর ও শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন।

সাইফুল ইসলাম দরগা রাস্তার মাথা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই প্রতিবেশীর জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় সাইফুলকে জড়ানো হয়েছিল। গত শনিবার দুপুরে তাঁর দুই প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম ও ফরিদুল আলমের মধ্যে এ নিয়ে মারামারি হয়। বিরোধপূর্ণ জমিটি ছিল সাইফুল ইসলামের বাড়ির পাশে। এ মারামারির ঘটনায় নুরুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় সাইফুল ইসলামকেও আসামি করা হয়। ওই মামলার সূত্র ধরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আসামি গ্রেপ্তার করতে এলে সাইফুল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এরপর তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে নিহত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রিনা আকতার (৩২) প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ থেকে বাঁচতে তাঁর স্বামী দৌড় দিয়েছিলেন। পুলিশ যাওয়ার পরও সাইফুল ইসলাম ঘরে না ফিরলে তাঁরা খুঁজতে গিয়ে তাঁর লাশ পান। এই হত্যার সঙ্গে নুরুল ইসলামের লোকজন জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে বাড়িতে গিয়েও তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাইফুল একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে ঘরে না পেয়ে পুলিশ ফিরে আসে। পরে খবর পেয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। সেখানে দৃশ্যমান কোনো জখমের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটিত হবে বলে আশা করছি।’