নির্বাচন নির্বাচন খেলা আর খেলতে দেওয়া হবে না: জয়নুল আবেদীন ফারুক

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ময়মনসিংহে গণমিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জয়নুল আবেদীন ফারুক। শুক্রবার নগরের নতুন বাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন নির্বাচন খেলা আর খেলতে দেওয়া হবে না মন্তব্য করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপির দাবি মেনে সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে।’

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরে বিএনপির গণমিছিলের আগে নগরের নতুন বাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  জয়নুল আবেদীন এসব কথা বলেন।

জয়নুল আবেদীন ফারুক আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনাই একসময় বলেছিলেন, “বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তত দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে।” অথচ এখন দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। যেকোনো সময় চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হতে পারে। তখন পালানোর পথ পাবেন না আপনারা। সময় থাকতে চলে যান। বুড়িগঙ্গা, কর্ণফুলী পার হতে পারবেন না।’

সরকার প্রতিহিংসামূলকভাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন জয়নুল আবেদীন ফারুক। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তাঁকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করতে দিচ্ছে না সরকার। অথচ খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। কী দুঃসাহস আপনাদের। আপনাদের এক পয়সারও হিসাব নেওয়া হবে।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আন্দোলনের ব্যাপারে বিএনপি কৌশলী। কেউ কেউ হয়তো দুর্বার আন্দোলন না হওয়ায় হতাশ। আপনারা হতাশ হবেন না। বিএনপি এবার সফল হবেই।’ দলীয় নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির যেসব নেতা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেন না, শুধু এমপি হতে আসেন, এমন নেতাদের বিএনপির দরকার নেই; বরং চলমান আন্দোলনে যাঁরা অংশ নিচ্ছেন, সেসব কর্মীকে মনে রাখবে বিএনপি।’

ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণমিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন ও শরীফুল আলম। পরে একটি মিছিল বের হয়ে নগরের রামবাবু রোড এলাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ মিছিলটিকে আর এগোতে না দিয়ে আবার বিএনপির কার্যালয়ের দিকে ঘুরিয়ে দেয়।