গৃহবধূর লাশে জখমের চিহ্ন, স্বামী পলাতক

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। আজ রোববার সকালে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের দশের ঘোনা এলাকায় নিজবাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মর্তুজা বেগম (৩৫) ওই এলাকার আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী এবং একই এলাকার মোজাহের আহমদের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে আবদুস শুক্কুর এলাকায় নেই। সকাল ১০টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়ের উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত মর্তুজা বেগমের হাতে-পিঠে, মাথায় ও গালে ফুলা জখমের চিহ্ন আছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৮ বছর আগে দশের ঘোনা এলাকার মোহাম্মদ শরীফের ছেলে আবদুস শুক্কুরের সঙ্গে মোজাহের আহমদের মেয়ে মর্তুজা বেগমের বিয়ে হয়। এ দম্পতির এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। আবদুস শুক্কুরের সঙ্গে মর্তুজা বেগমের প্রায় সময় কলহ লেগে থাকত। কলহের জেরে স্ত্রীকে মারধর করতেন শুক্কুর।

মর্তুজার ভাই জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আবদুস শুক্কুর মাদকে আসক্ত। অন্য নারীর সঙ্গে তাঁর পরকীয়া। এ নিয়ে কয়েকবার সালিসও হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করায় গত শুক্রবার রাতে আমার বোনকে এক ঘণ্টা পিটিয়েছে শুক্কুর। একই বিষয়ের জেরে গতকাল শনিবার রাতেও পেটান তিনি। মর্তুজা মরে গেলে লাশ বিছানায় রেখে দেন। আজ সকাল ছয়টার দিকে শুক্কুর পাশের বাড়ির এক নারীকে মর্তুজার বাবার বাড়িতে খবর দিতে বলেন। এর পর থেকে শুক্কুরকে এলাকায় দেখা যায়নি।’

জসিম উদ্দিন আরও বলেন, গতকাল দিবাগত রাত ২টা ৪৬ মিনিটে শুক্কুর ফোন দিয়ে বলেন, ‘তোর বোনকে এখন নিয়ে যা, নইলে মরা পাবি। আমি এলাকায় ছিলাম না। তাই শুক্কুরকে বলি, সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা কর। কিন্তু এর আগেই সে আমার বোনকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। গলায় রশি পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় সে।’

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরহাদ আলী বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মর্তুজার পরিবারের লোকজন লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা করা হবে।