ফয়জুল করীমকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণার দাবিতে গণমিছিল ও সমাবেশ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম
ফাইল ছবি

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল বাতিল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে মেয়র হিসেবে ঘোষণার দাবিতে গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে নগরের সদর রোডের অশ্বিনীকুমার হলের সামনে ‘বরিশাল সিটি করপোরেশনের সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

আরও পড়ুন

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের সিটি নির্বাচনে ‘হাতপাখা’ প্রতীকের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করীম প্রকৃত বিজয়ী হলেও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নির্বাচনকে প্রভাবিত করে তাঁকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ না থেকে নৌকা প্রতীকের পক্ষে পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করেছে বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতা রেজাউল করিম, আমান হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল মহানগর সভাপতি গাজী রিদওয়ান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহীম ও মেহেদী হাসান, বি এম কলেজের শিক্ষার্থী হান্নান উদ্দিন ও হাসিবুল হাসান, হাবিবুল্লাহ রনি এবং বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জহিরুল ইসলাম।

বক্তারা আরও বলেন, ভোটের দিন শহরের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জালিয়াতির মাধ্যমে জনমতকে বিকৃত করা হয়। বরিশালের জনগণ প্রকৃত বিজয়ীকেই মেয়র হিসেবে দেখতে চান। এই দাবিতেই নির্বাচনের ফল বাতিল করে মুফতি ফয়জুল করীমকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করার আহ্বান জানান বক্তারা।

২০২৩ সালের ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশেনর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন ফয়জুল করীম।

ওই নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে ১৭ এপ্রিল বরিশাল সদর সিটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন ফয়জুল করীম। মামলায় তিনি ২০২৩ সালের সিটি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করার আবেদন জানান। তাঁর পক্ষে মামলা দাখিল করেন আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির। আবেদনটি পরবর্তী আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন বিচারক।