ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত ৫

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এ কে আজাদের আহত কয়েকজন সমর্থকছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কাদের আজাদের (এ কে আজাদ) সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া আটটার দিকে সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিরেন সাহার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় এ কে আজাদের পাঁচ সমর্থক আহত হয়েছেন।

একই আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সমর্থক ও ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলার হয়েছে বলে আহত ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছেন। তবে গতকাল রাতে ওই এলাকায় এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি শহীদুল ইসলামের।

হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন বিল্লাল আলী শেখ (৩৫), খোকন মল্লিক (৩৬), লালন মণ্ডল (৩০), সাঈদ সর্দার (২৭) ও মো. সোহাগ মাতুব্বর (২৪। তাঁদের ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত খোকন মল্লিক বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় তাঁরা ১০-১৫ জন ইউনিয়নের পিঠে কুমড়া বাজার থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী প্রতীক ঈগল মার্কার প্রচারণা করে বিরেন সাহার মোড় এলাকার চৌধুরী বাড়ির সামনে যান। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম একটি গাড়ি ও বেশ কিছু মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের ঘিরে ধরেন। মোটরসাইকেল থেকে শহীদুলের লোকজন নেমে তাঁদের হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে ধাওয়া দেন। তখন তাঁরা পালিয়ে আশপাশের বাড়িতে আশ্রয় নিলে বাড়িতে ঢুকে হামলাকারীরা তাঁদের হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে বেদম পেটান। এতে পাঁচজন আহত হন।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মুনতাসির হাসান বলেন, আহত অবস্থায় পাঁচজনকে আনা হলে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই রোগীরা মারধরের শিকার হয়ে ভর্তি হলেও তাঁদের কারও শরীরে আঘাত দৃশ্যমান ও গুরুতর নয়। তবে আহত প্রত্যেককে এক্স-রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

হামলার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ঈশান গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে ইউনিয়নের বিরেন সাহার মোড় এলাকায় কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি নিজেও তখন ওই এলাকায় ছিলেন না।

মিথ্যা অভিনয় করে ভোট বাড়ানো যায় না—মন্তব্য করে ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও এলাকা ছাড়া করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এসব বানানো খবর গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদদুর গফফার বলেন, হামলার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে কাউকে পায়নি। তিনি বলেন, আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।