গোলাপের দাম হঠাৎ কেন কমে গেল গদখালীতে

যশোরের গদখালীতে বিক্রির জন্য আনা গোলাপ ফুল
ছবি: প্রথম আলো

পয়লা ফাল্গুনের আগের দিন আজ সোমবার ফুলের রাজ্য যশোরের গদখালী পাইকারি ফুলের বাজারে গোলাপ ফুলের দাম কমেছে। ফুলের পাইকারি ক্রেতারা মনে করছেন, পয়লা ফাল্গুনের দিনে ভালোবাসা দিবস হওয়ায় গোলাপ কিছুটা কদর হারিয়েছে। দাপট বেড়েছে গাঁদা ফুলের।  

আজ সকালে গদখালী মোকামে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাপ বাদে প্রতিটা গোলাপ ১০ থেকে ১৬ টাকায় এবং ক্যাপ পরানো গোলাপ ৬ থেকে ৮ টাকা দরে পাইকারি কেনাবেচা চলছে। গতকাল রোববার ক্যাপ বাদে গোলাপ ২০ থেকে ২২ টাকা এবং ক্যাপ পরানো গোলাপ ১০ থেকে ১২ টাকা দরে পাইকারি বেচাকেনা হয়েছিল।

নীলকণ্ঠ গ্রামের গোলাপচাষি হাসেম মল্লিক বলেন, ‘আজ ৭০০ গোলাপ ফুল বাজারে এনেছি। ক্যাপ বাদে প্রতিটা গোলাপের দাম পেয়েছি ১০ থেকে ১১ টাকা। আজ তো গতকালের তুলনায় অর্ধেক দাম পেলাম। এক বিঘা জমিতে আমি গোলাপের চাষ করেছি।’

আরও পড়ুন

গোলাপের দাম কমার কারণ জানতে চাইলে ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে আজ গোলাপ ফুলের জোগান বেড়ে যায়। কিন্তু সেই তুলনায় বাইরে থেকে ব্যাপারী আসেননি। যে কারণে দাম কিছুটা কমে যায়। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দাম বেশি আছে। আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি পয়লা ফাল্গুন ও ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস উদ্‌যাপন করা হতো। এখন দুটি দিবস ১৪ ফেব্রুয়ারিতে হয়। ফলে, গোলাপের বিক্রি কম হয়, বাড়ে গাদা ফুলের বিক্রি।

যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পয়লা ফাল্গুনকে কেন্দ্র করে গতকাল রোববার গোলাপের জমজমাট বেচাকেনার পর আজ গাদা ফুলের বাজার ছিল চড়া।

গতকাল গোলাপের জমজমাট বেচাকেনার পর আজ গাদা ফুলের বাজার ছিল চড়া
ছবি: প্রথম আলো

যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার সবচেয়ে বেশি দামে গোলাপ বেচাকেনা হয়েছে। আর পয়লা ফাল্গুন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গাদা ফুলের চাহিদা বাড়ে। আজ গাদা ফুলের বাজার চড়া হয়েছে। আরও অন্তত সাত দিন এমন দাম থাকবে।’

গতকালের তুলনায় আজ গোলাপ বিক্রি কম হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

গদখালী ফুলবাজারে গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা ও চন্দ্রমল্লিকা ফুলের জমজমাট বেচাকেনা হয়েছে। গত রোববার থেকে সব ধরনের ফুলের দাম অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। সপ্তাহের সাত দিনই এই হাটে ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে ফুলের বাজার বসতে শুরু করে। বাসের ছাদ, ট্রাক, পিকআপে করে এসব ফুল সারা দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।