উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাঙামাটির কাপ্তাই, রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি উপজেলায় আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। উপজেলা সদরের ভোটকেন্দ্রগুলোয় ভোটারের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। কিছু ভোটকেন্দ্র একেবারেই ফাঁকা। তবে গ্রামের ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটারের ভালো উপস্থিতি ছিল। গ্রামের ভোটকেন্দ্রগুলোয় উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে। প্রতিটি বুথের সামনে ছিল দীর্ঘ সারি।
আজ সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের সাক্রাছড়ি উচ্চবিদ্যালয়, মুরালীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ওয়াগ্গা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা সারি দেখা গেছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। তবে উপজেলা শহরের ভোটকেন্দ্র বরইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কে আর সি উচ্চবিদ্যালয় ও ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
কেন্দ্রগুলো ছিল একেবারেই ফাঁকা। যাঁরা ভোট দিতে এসেছিলেন, তাঁরাও ভোট দিয়ে দ্রুত চলে গেছেন। এ ছাড়া বিলাইছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলায় একই চিত্র দেখা গেছে। উপজেলা সদর কেন্দ্রগুলো ভোটারের উপস্থিতি একেবারে কম ছিল।
কাপ্তাই সদরের কে আর সি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার তীর্থজিৎ রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে ৩ হাজার ১৯৬ জন ভোটার রয়েছেন। তার মধ্যে দেড় ঘণ্টায় মাত্র ১৫০টি ভোট পড়েছে। ভোটারের উপস্থিতি একেবারে কম। কাপ্তাই উপজেলায় ৩ জন চেয়ারম্যান, ৩ জন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও ২ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কাপ্তাই উপজেলায় ভোটার রয়েছেন ৪৮ হাজার ৭৫৭ জন।’
তবে কাপ্তাইয়ের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোয় ভোটকেন্দ্রের চিত্র ছিল একেবারে উল্টো। কাপ্তাইয়ের ওয়াগ্গা ইউনিয়নের মুরালীপাড়া ভোটকেন্দ্রে দেখা গেছে ভোটারদের লম্বা সারি। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ক্যসুইপ্রু মারমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোট গ্রহণের আগে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দ্রুত ভোট গ্রহণ করা সম্ভব হবে।’
এ ছাড়া রাজস্থলী উপজেলায় কেবল চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। পুরুষ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান দুজনই আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। রাজস্থলী উপজেলায় ভোটার রয়েছেন ২০ হাজার ৮৭৯ জন। বিলাইছড়ি উপজেলায় দুজন চেয়ারম্যান, দুজন পুরুষ ও দুজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে ভোটার রয়েছেন ২৩ হাজার ৬৯৮ জন।