কুমিল্লার মেঘনায় বিরোধীপক্ষের হামলায় একজন নিহত, আহত ৮

নিহত
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় বিরোধীপক্ষের হামলায় একজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের বাগ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম কামরুল ইসলাম (৩৮)। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন মো. দাইয়ান, মো. সোহেল ও মো. হানিফা। এর মধ্যে দাইয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে হুমায়ুন কবির ও কাইয়ুম হোসেন পক্ষ প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে থাকে। একপক্ষের নেতা হুমায়ুন কবির চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। আরেক পক্ষের নেতা কাইয়ুম হোসেন জেলা পরিষদের সদস্য। এর আগে হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই নিজাম সরকার হত্যার শিকার হন। ওই হত্যা মামলার আসামি কাইয়ুম হোসেন ও তাঁর পক্ষের লোকেরা সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছেন। আজকের সংঘর্ষে হতাহত ব্যক্তিরা সবাই কাইয়ুম পক্ষের লোক।

হুমায়ুন চেয়ারম্যানের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশন্ত্র নিয়ে চালিভাঙ্গা বাগ বাজারঘাটে হামলা চালালে কাইয়ুম পক্ষের নয়জন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জামিনে মুক্ত হয়েও কাইয়ুম ও তাঁর পক্ষের লোক হুমায়ুন চেয়ারম্যান ও তাঁর পক্ষের লোকজনের ভয়ে তাঁদের নিজ নিজ বাড়িতে যেতে পারছিলেন না। এ পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার মেঘনা থানা-পুলিশ কাইয়ুম পক্ষের লোকজনকে থানায় ডেকে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করে। গত রোববার রাত থেকে চালিভাঙ্গা বাজারে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হয়। এতে আশ্বস্ত হয়ে কাইয়ুম পক্ষের নলচর, ফরাজিকান্দি, চালিভাঙ্গা গ্রামের লোকজন আজ দুপুরে যে যাঁর বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কাইয়ুম পক্ষের কিছু লোক ট্রলারযোগে চালিভাঙ্গা বাগ বাজারঘাটে নামার সময় হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ভাই টিটু তা দেখে তাঁদের পক্ষের লোকজনকে খবর দেন। পরে হুমায়ুন চেয়ারম্যানের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশন্ত্র নিয়ে চালিভাঙ্গা বাগ বাজারঘাটে হামলা চালালে কাইয়ুম পক্ষের নয়জন গুরুতর আহত হন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠালে পথিমধ্যে কামরুল মারা যান। আরেকজনের অবস্থা মুমূর্ষু বলে জানা গেছে।

চালিভাঙ্গা ইউপির চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি আজ বাড়িতে ছিলাম না। বিকেল চারটায় গ্রামে এসেছি। আমার ছোট ভাই টিটু কাইয়ুমের আব্বাকে লোকজন নিয়ে বাজারে ঘুরতে দেখলে গ্রামের সবাইকে ডাকে। পরে কী হয়েছে জানি না।’

মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে থানায় কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) তোফায়েল ফোন ধরেন। তিনি বলেন, ‘ওসি স্যার অন্য মোবাইলে একটু ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন।’ সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই তোফায়েল বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে যাব।’