সরিষাবাড়ীতে বিএনপির ১২ নেতা-কর্মীর নামে পুলিশের মামলা, গ্রেপ্তার ১

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় নাশকতার পরিকল্পনা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীর নামে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে।

এরই মধ্যে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি নজরুল ইসলামকে (৫০) গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। দলটির নেতারা বলেছেন, বিএনপির জনস্রোত ঠেকাতে সরকার পুলিশকে দিয়ে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে। এসব মামলার কোনো ভিত্তি নেই।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বুধবার রাতে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জমায়েত হয়ে সরিষাবাড়ীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও যানবাহন ভাঙচুর, রেললাইন উৎপাটন, রেলস্টেশন ও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের মতো নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান। একপর্যায়ে সেখান থেকে ডোয়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল, একটি বস্তায় ভরা ২০টি ইটের টুকরা ও ১০টি বাঁশের লাঠি জব্দ করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবীর বলেন, গ্রেপ্তার নজরুলকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার বলেন, ‘বিএনপির জনস্রোত ঠেকাতে সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে দিয়ে গায়েবি ও মিথ্যা মামলা করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। এক মাসে পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় সাতটি মামলা করেছে।’