নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করে মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শন করায় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামের অস্ত্র জব্দ করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সাঁথিয়া থানা-পুলিশ অস্ত্রটি জব্দ করে। একই সঙ্গে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম অস্ত্র জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে ২১ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সব বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। শফিকুল ইসলাম সেই নির্দেশনা অমান্য করে লাইসেন্স করা পিস্তল প্রদর্শন করেছেন। এতে অস্ত্র আইন লঙ্ঘন হওয়ায় শফিকুল ইসলামের অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী থেকে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক। অস্ত্র জব্দ হওয়া শফিকুল শামসুল হকের সমর্থক। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
সাঁথিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, ২৯ ডিসেম্বর সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল হকের ভাই আবদুল বাতেনসহ ৪৩ জনের নামে মামলা হয়। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে পরদিন ৩০ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা সাঁথিয়া বাজারে মিছিল করেন। মিছিলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওটিতে শফিকুল ইসলামের কোমরে পিস্তল দেখা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই অস্ত্রটি জব্দ করেছে পুলিশ।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসন তৎপর আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।