রাবনাবাদ চ্যানেলে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাবনাবাদ চ্যানেলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনর্নির্মাণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন। রোববার উপজেলার চান্দুপাড়া গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চান্দুপাড়া গ্রামে রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনর্নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চান্দুপাড়া গ্রামে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা কমিউনিটি বেজড অর্গানাইজেশন (সিবিও)। মানববন্ধনে ওই এলাকার কয়েক শ নারী ও পুরুষ অংশ নেন।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিডরের কারণে রাবনাবাদ চ্যানেলের জোয়ারের প্রবল চাপে চান্দুপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর কয়েক দফা মেরামত করা হলেও বাঁধ টেকসই হয়নি। বাঁধের কয়েকটি অংশ ভেঙে গেছে। বর্ষা মৌসুমে ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে চাড়িপাড়া, চান্দুপাড়া, চর চান্দুপাড়া, মঞ্জুপাড়া, নাওয়াপাড়া, বড় পাঁচনং, ছোট পাঁচনং ও মুন্সীপাড়া গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গ্রামের মেঠো পথ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। এতে বিশুদ্ধ পনির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

চান্দুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাঁধ না থাকায় জোয়ারে পানি বাড়লেই এলাকার প্রায় ১ হাজার ২০০ একর ফসলি জমি তলিয়ে যায়। গত ১৫ দিন স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে অধিকাংশ কৃষকের আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে শুধু কৃষকই নন, এলাকার সাধারণ মানুষও চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মাসুদ হাওলাদার বলেন, বর্তমানে চান্দুপাড়া এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৮টি স্পট ঝুঁকিপূর্ণ। আগামী অমাবস্যার জোয়ারে পানি বাড়লেই বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবে। তাঁদের দাবি, দ্রুত যেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি টেকসইভাবে নির্মাণ করা হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা সেখানে বাঁধ নির্মাণ করতে চান। কিন্তু এলাকার মানুষ জমি দিতে চান না, বাঁধের কাজ করতে গেলে বাঁধা দেন। এ ছাড়া এলাকাবাসী একেবারে রাবনাবাদ চ্যানেলের তীর ঘেঁষে বাঁধ করার জন্য বলেছেন। সমস্যা হলো রাবনাবাদ চ্যানেলের তীর ঘেঁষে বাঁধ করলে তা টিকবে না। এলাকাবাসীর অসহযোগিতায় বাঁধের বরাদ্দকৃত টাকাও ইতিমধ্যে ফেরত চলে গেছে। তিনি বলেন, তাঁরা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে যাতে বাঁধটি দ্রুত করা যায়, সেই চেষ্টা করবেন।