বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে স্কুলছাত্রীর অবস্থান, বাড়ি ছাড়লেন মা–বাবাসহ তরুণ

পাবনা জেলার মানচিত্র

চার বছর ধরে তাঁদের প্রেম। প্রতিশ্রুতি ছিল বিয়ে করার। কিন্তু প্রেমিক ঠিকমতো খোঁজও নিচ্ছিলেন না। তাই তরুণ (১৮) প্রেমিকের বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছে স্কুলছাত্রী কিশোরী। বিয়ে না হলে সেখানেই আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছে। সে জন্য মা–বাবাসহ বাড়ি ছেড়েছেন তরুণ প্রেমিক।

ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার সুজানগর উপজেলায়। ওই তরুণ ও কিশোরীর বাড়ি একই ইউনিয়নের ভিন্ন দুটি গ্রামে। ছেলেটি গত বছর এসএসসি পাস করলেও এখনো কলেজে ভর্তি হননি। আর মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরী ওই তরুণের বাড়িতে এসে বিয়ের কথা বলে। এতে তরুণের মা–বাবা রাজি হননি। এর পর থেকেই কিশোরী ওই বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। তাকে কিছুতেই বাড়ি থেকে না সরাতে পেরে ওই তরুণ তাঁর মা–বাবাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরে পুলিশ মেয়েটি উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়। কিন্তু কিশোরী আবার ওই তরুণের বাড়িতে চলে আসে। বর্তমানে সে একাই ওই বাড়িতে অবস্থান করছে।

মেয়েটির দাবি, ওই তরুণ মাঝেমধ্যে তাঁদের গ্রামে যেতেন। সেখানে কথা হতে হতে একপর্যায়ে তাঁদের প্রেম হয়। চার বছর ধরে তাঁরা একসঙ্গে ঘুরেছেন। ছেলেটি তাকে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি হঠাৎই তাকে পাত্তা দিচ্ছেন না। কিছুদিন হলো তার খোঁজখবর নিচ্ছিলেন না। এ জন্য সে গত বৃহস্পতিবার ওই তরুণের বাড়িতে আসে। তাঁর মা–বাবাকে সম্পর্কের কথা জানায়। কিন্তু এতে তাঁরা সম্মতি না দিয়ে উল্টো তাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। ফলে সে এ বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত এ বাড়িতেই থাকবে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ওই তরুণকে খোঁজা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছেলের সম্পর্কের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তাই বাড়ি ছেড়েছি। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হান্নান বলেন, ‘মেয়েটি অপ্রাপ্তবয়স্ক। তার দাবির আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। আমরা তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছিলাম। পরে আবার চলে এসেছে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা নেই।’