কালভার্ট যেন মৃত্যুফাঁদ 

বিরামপুরের পাঠানচড়া কালভার্টে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুই বছরেও এটি সংস্কার করেনি এলজিইডি।

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলাবাজার-পাঠানচড়া বাজার পাকাসড়কে ক্ষতিগ্রস্ত পাঠানচড়া কালভার্ট
ছবি: প্রথম আলো

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার সীমান্তঘেঁষা পাঠানচড়া বাজার। বাজারের পূর্বে ২ নম্বর কাটলা ইউনিয়ন আর পশ্চিমে জোতবানী ইউনিয়ন। দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র সংযোগস্থল পাঠানচড়া কালভার্ট। এর নিচ দিয়ে প্রবাহিত খাঁড়ি চলে গেছে ভারতে। খাঁড়ির ওপরে কাটলাবাজার ও পাঠানচড়া বাজারের সংযোগ পাকাসড়কের মাঝখানে কালভার্ট। এই কালভার্টের মাঝামাঝি স্থানে দুই বছর আগে একটি গর্তের সৃষ্টি হয়। দিনে পথচারীরা দেখেশুনে চলাচল করতে পারলেও রাতে এই কালভার্ট দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালভার্টটি বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে। ২৫ বছর আগে এটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। গর্তের সৃষ্টি হওয়ার পর কালভার্টটি সংস্কারের বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের জানালেও কোনো কাজ হয়নি। 

ক্ষতিগ্রস্ত কালভার্ট থেকে অদূরে উত্তরে বিশাল আকৃতির সাগরদীঘি ও দক্ষিণে ভারত সীমান্তবর্তী ভাঙাদীঘি। ভারত সীমান্তের পাশে এই দুই দিঘির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন দর্শনার্থীরা এ কালভার্টের ওপর দিয়ে যাতায়াত করেন। এ ছাড়া সীমান্তবর্তী কয়েক হাজার মানুষ এই কালভার্টের ওপর দিয়ে বিরামপুর উপজেলা শহর, কাটলা ইউনিয়ন ও কাটলা বাজারে নিয়মিত যাতায়াত করেন। 

পাঠানচড়া বাজারের দক্ষিণে খিয়ারমামুদপুর, পশ্চিমে কসবাসাগরপুর ও উত্তরে ভাইগড় গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষিনির্ভর। কৃষিপণ্য ও কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি নিয়ে এলাকার মানুষকে এ সড়কের ওপর দিয়েই নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। দিনের আলোতে এ কালভার্টের ওপর দিয়ে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান ও অন্যান্য গাড়ি চলাচল করতে পারলেও রাতের অন্ধকারে এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, গত কয়েক মাস আগে কালভার্টটির উত্তর পাশের সাগরদীঘি এলাকার আফজাল হোসেনের স্ত্রী ওই কালভার্টটি পার হতে গিয়ে সেই গর্ত দিয়ে নিচে পানিতে পড়ে যান। এ ছাড়া এলাকার শিশুরা রাস্তায় খেলতে গিয়ে সেখানে প্রায় হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কালভার্টটির বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে গত বৃহস্পতিবার দিনাজপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রেজাউল বারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কালভার্টটি দ্রুত মেরামত করার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।