শ্রীপুরে যুবলীগ নেতার গাড়ি ভাঙচুর, হামলার পাল্টা অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার

গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা বাজার এলাকায় মধ্যরাতে ভাঙচুর করা গাড়ি
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা বাজার এলাকায় এক যুবলীগ নেতার ব্যক্তিগত গাড়িসহ তিনটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়লের নেতৃত্বে এ ভাঙচুরের পাশাপাশি গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজিজুর রহমান ওরফে জন।

তবে ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা নাসির মোড়ল দাবি করেছেন, তাঁর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাত ১২টায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানান, শ্রীপুরের মাওনা বাজার এলাকায় যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমানের ব্যক্তিগত গাড়িসহ তাঁর অপর দুই সঙ্গীর আরও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেলে কিছু লোক উচ্চ শব্দে হর্ন বাজিয়ে এসে তিনটি ব্যক্তিগত গাড়ির কাছে থামেন। তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই গাড়িগুলোতে ভাঙচুর চালান। এ সময় গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আজিজুর রহমান ও তাঁর লোকজন ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে চলে যান। এরপর সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে গাড়ি ভাঙচুর।

১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেলে কিছু লোক এসে তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা বাজার এলাকায়
ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

আজিজুর রহমান দাবি করেছেন, তাঁর নিজের বাড়ির সামনের সড়কে গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল ও তাঁর লোকজন এ হামলা চালিয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। হামলায় তাঁর দুই সঙ্গী মো. আল আমিন ও মো. মইনুল আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়া ও বিভিন্ন সময় দাবি করা চাঁদা না দেওয়ায় তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করবেন।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল বলেন, আজিজুর রহমানের লোকজন রাত সাড়ে ১০টায় তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলা করেছেন। এরপর গাড়িতে হামলার কারণ জানতে তাঁর লোকজন আজিজুর রহমানের গাড়ির কাছে যান। সেখানে তাঁর লোকজন গাড়ি ভাঙচুর করেননি। বরং নিজেরাই নিজেদের গাড়ি ভাঙচুর করে ষড়যন্ত্র করছেন।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিবেশ শান্ত হয়। সেখানে গোলাগুলির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কোনো পক্ষেরই অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।