চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয় আজ বুধবার সকাল ৮টায়। ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। এর মধ্যেই বেশ কিছু কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়াসহ ভোটকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা। কেন্দ্র ঘুরে প্রার্থীদের অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে।
সকাল ৯টায় উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ধুমঘাট হাজি চান মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটারশূন্য কেন্দ্র। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে এজেন্ট নেই অনেক প্রার্থীর। তবে কেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় মহড়া দিতে দেখা যায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী (কাপ-পিরিচ) এনায়েত হোসেনের সমর্থকদের। তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ভূঁইয়া ও শ্রমিক লীগ নেতা অশোক সেনকে।
খবর পেয়ে সেখানে এসে ছুটে আসেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (টিয়া পাখি) মোহাম্মদ শেখ সেলিম। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এখানে ভোটের নামে নৈরাজ্য চলছে।’
কেন্দ্রটিতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন সাইফুল হক সিরাজি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৮৩২। ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে ভোটার উপস্থিতি কম। বাইরে কী হচ্ছে, তা আমি জানি না। তবে কেন্দ্র থেকে এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়ার কথা সত্য নয়। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁদের কোনো এজেন্ট আসেননি।’
সকাল ১০টায় করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম জোয়ার রশিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি ভালো। তবে এ কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে মো. সেলিম নামের এক যুবককে আটক করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।
জানতে চাইলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ১১৫ জন। সকাল থেকে এখানে ভোটার উপস্থিতি ভালো। জাল ভোট দিতে সহযোগিতা করায় এখানে একজনকে আটক করা হয়েছে। আরেকজন পালিয়ে গেছেন।
কেন্দ্র দখল, এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়াসহ ভোটে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্বে থাকা মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছু কেন্দ্রে অনিয়মের খবর পাচ্ছি। খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা।’