বাসে যাত্রী তোলা নিয়ে বিতর্ক, ছুরিকাঘাতে চালকের সহকারী নিহত

ছুরিকাঘাতে হত্যা
প্রতীকী ছবি

পাবনায় বাসে যাত্রী তোলা নিয়ে তর্কবিতর্কের জেরে যাত্রীর ছুরিকাঘাতে চালকের সহকারী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার ভোরে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জুবায়ের রহমানের (২৫) বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার গাছপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বাসের টিকিট পরিদর্শক (সুপারভাইজার) জাকির হোসেন (৪০)। তাঁকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন মারুফ হোসেন (২৫) নামের এক যাত্রীকে চাকুসহ আটক করে পুলিশে দিয়েছে। মারুফ জেলা সদরের আরিফপুর মহল্লার জিয়াউর রহমানের ছেলে। আহত সুপারভাইজার জাকির হোসেনের বাড়িও সদরের দিকশাইল গ্রামে।

বাসটির যাত্রী ও আহত সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাবনা-ঢাকা রুটে চলা মাছরাঙ্গা পরিবহনের একটি বাস গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে ঢাকা থেকে পাবনার উদ্দেশে ছাড়ে। বাসটি পথিমধ্যে থামিয়ে যাত্রী তোলার সময় বাসে থাকা যাত্রী মারুফ হোসেনের সঙ্গে চালকের সহকারীর কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেখানে মারুফ পাবনা ফিরে বাসচালকের সহকারীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ভোর পাঁচটার দিকে বাসটি শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় পৌঁছালে মারুফ হোসেন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তিনি চাকু বের করে চালকের সহকারী ও সুপারভাইজারের দিকে চড়াও হন। দুজনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন।

এ সময় তাঁদের চিৎকারে বাস টার্মিনালে থাকা অন্য শ্রমিকেরা এসে চাকুসহ মারুফকে আটক করেন। একই সঙ্গে আহত অবস্থায় জুবায়ের ও সুপারভাইজার জাকিরকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা জুবায়েরকে মৃত ঘোষণা করেন।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চাকুসহ ওই যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। মামলা হলে আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।