ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষের আগমুহূর্তে লাফ দিয়েও বাঁচতে পারলেন না বাসচালক, নিহত ২

বাস–ট্রাক সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় মানুষের ভিড়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চৌধুরী ঘাটা এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

বেপরোয়া গতিতে আসছিল বাস। সামনে দাঁড়ানো ছিল ট্রাক। দুর্ঘটনা আসন্ন বুঝতে পেরে চালক আগেই বাস থেকে লাফ দেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বাসটি ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। নিজের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান বাসচালক। দুর্ঘটনায় আরও এক যাত্রী ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের চৌধুরী ঘাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত পাঁচ যাত্রীকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
দুর্ঘটনাস্থলে পড়ে আছে বাসের ভাঙা অংশ। আজ বিকেলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের চৌধুরী ঘাটা এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, চৌধুরীঘাটা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে একটি ট্রাক দাঁড়ানো ছিল। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গ্রামবাংলা পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে এসে ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাঁদের জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার আগেই চালক বাস থেকে লাফ দেন। এতে তিনি নিজের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী যাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বাসটিতে ৩০ থেকে ৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। বাসটি স্বাভাবিক গতিতে আসছিল। কিন্তু যাত্রীরা চালককে দ্রুতগতিতে চালানোর জন্য বকাঝকা করছিলেন। যার ফলে চালক জোরে চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন।

ওসি খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, দুর্ঘটনায় চালকসহ দুজন মারা গেছেন। তাঁদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানায় নেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটি সড়ক থেকে সরে গিয়ে পাশে খালি জায়গায় চলে গেছে। সেটি উদ্ধার করা হচ্ছে। তবে যানজটের সৃষ্টি হয়নি।