তল্লাশিচৌকি দেখে পালানোর চেষ্টা, ৭ টন ‘বুঙ্গার চিনি’সহ গ্রেপ্তার ৩
একসঙ্গে চলছিল দুটি মোটরসাইকেল। পেছনে পেছনে চলছিল একটি ট্রাক। পুলিশের তল্লাশিচৌকি দেখামাত্র মোটরসাইকেলের চালকেরা রাস্তা বদলে ঘুরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের অনুসরণ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ট্রাকচালকও। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
ট্রাকবোঝাই ১৪০ বস্তায় থাকা ৭ টন চিনিসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের সিলেটে জালালাবাদ থানার তেমুখী বাইপাস এলাকায় গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলও জব্দ করে পুলিশ। আটক তিনজন হলেন—সুনামগঞ্জের ছাতকের কাশিপুরের সাইদুল হক (৩০), সিলেট সদরের মইয়ারচর এলাকার মো. সোহেল রানা (৩৩), সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা মধ্যনগরের জাকির হোসেন (২২)।
সিলেটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে দেশে চিনি আসে। চোরাই ভারতীয় এসব চিনি সিলেটের বাজারে ‘বুঙ্গার চিনি’ নামে পরিচিত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চোরাই পথে আসা কিছু চিনি মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে ধরা পড়লেও বেশির ভাগ চালানই ঢুকছে সিলেটের বাজারগুলোয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আটক তিনজন, পলাতক দুজনসহ মোট পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। চোরাচালান রোধে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রাখবে।
মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার গভীর রাতে তেমুখী বাইপাস এলাকায় তল্লাশিচৌকি বসায় জালালাবাদ থানার পুলিশ। তল্লাশির একপর্যায়ে সুনামগঞ্জের দিক থেকে দুটি মোটরসাইকেল আসতে দেখেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ দেখে মোটরসাইকেল দুটি রাস্তা বদলের চেষ্টা চালায়। একই সময় মোটরসাইকেলগুলোর পেছনে থাকা একটি ট্রাকও গতিপথ পাল্টানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশের সদস্যরা ট্রাক-মোটরসাইকেলগুলো জব্দ করেন। ট্রাক থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৭ লাখ টাকা মূল্যের ১৪০ বস্তা ভারতীয় চিনি। মোটরসাইকেল ও ট্রাকে থাকা তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তবে পালিয়ে যান ট্রাকচালকসহ দুজন।