খালিয়াজুরিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শামছুজ্জামান তালুকদারের বিরুদ্ধে দলীয় প্রভাব, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, প্রচারে বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, কর্মী-সমর্থকদের হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গতকাল রোববার আরেক প্রার্থী রব্বানী জব্বার নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগকারী রব্বানী জব্বার (ঘোড়া প্রতীক) পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ছোট ভাই। আর কাপ–পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী শামছুজ্জামান তালুকদার উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ৯ জুন এখানে ভোট গ্রহণ করা হবে।

লিখিত অভিযোগে রব্বানী জব্বার উল্লেখ করেছেন, শামছুজ্জামান তালুকদার মনোনয়ন দাখিলের পর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তিনি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মোটরসাইকেলে মহড়া, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়কে তাঁর নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার, উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তাঁর প্রচারে ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান কাপ-পিরিচের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার মঞ্চে দাঁড়িয়ে শামছুজ্জামানকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

রব্বানী জব্বার আরও উল্লেখ করেন, শামছুজ্জামান তালুকদার ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা প্রতিনিয়ত তাঁর (রব্বানী জব্বার) কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা ঘোড়া প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ পোস্টারের ওপরে পোস্টার সাঁটাচ্ছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি মিথ্যা হামলার কাহিনি সাজিয়ে শামছুজ্জামান তালুকদার তাঁর সমর্থক আলমগীর ফকিরকে দিয়ে থানায় রব্বানী জব্বারের ১০ জন সমর্থকের নাম উল্লেখসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শামছুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। জনগণ আমার পক্ষে রয়েছে। আশা করছি, বিজয় সুনিশ্চিত।’

এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ময়নসিংহের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে গত ২৯ মে খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে ৯ জুন ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়। চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন। অন্য চার প্রার্থী হলেন জহিরুল আলম (মোটরসাইকেল), রানা তপন কান্তি রায় (হেলিকপ্টার), মোহাম্মদ অলিউর রহমান (আনারস) ও কামরুন্নেছা (দোয়াত-কলম প্রতীক)।