জামালপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির আটক দুই নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি
জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়ন বিএনপির দুই নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সফিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন মেষ্টা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. ফরমান ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর ওরফে পলাশ। তাঁদের দুজনের বাড়ি সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামে। তাঁরা দুজনের সদর থানা–হাজতে রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌথ বাহিনীর হাতে তাঁরা দুজনসহ তিনজন আটক হন।
মেষ্টা ইউনিয়ন বিএনপির দুই নেতার বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে তাঁদের দলীয় সব পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। পরবর্তী সময়ে তদন্ত সাপেক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সফিউর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে ওই দুজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। আটকের ঘটনায় আপাতত তাঁদের দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তাঁদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের হাজিপুর বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে মো. ফরমান (৪২), হুমায়ুন কবীর ওরফে পলাশ (৪৫) ও মো. সিরাজুল ইসলাম (৪৩) চাঁদাবাজি করছিলেন। চাঁদাবাজি নিয়ে ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে এক ব্যবসায়ী যৌথ বাহিনীর কাছে অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী ওই বাজারে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে তিনজনকে আটক করেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌথ বাহিনী তাঁদের সদর থানায় হস্তান্তর করে। দুজনের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও মো. সিরাজুল ইসলামের কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মো. আতিক বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে আইনগত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা হওয়ার পর তাঁদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।