ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে চাচা আটক

ঈশ্বরগঞ্জে নিহত শিশু নাইম ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় চাচার বিরুদ্ধে পাঁচ বছর বয়সের ভাতিজাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের দেবস্থান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত চাচাকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ভাতিজার নাম নাইম ইসলাম। সে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দেবস্থান গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে। নাইমকে হত্যার অভিযোগে আটক তার চাচার নাম আবদুল বারেক (৩০)।

নাইমের মা রীনা আক্তার বলেন, তাঁর বড় ছেলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বিদ্যালয় ছুটির পর সে বাড়িতে এসে তাঁর কাছে ভাত খেতে চায়। তাঁকে ভাত দেওয়ার পর ছোট ছেলে নাইম ইসলাম কার্টুন দেখার জন্য তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোনটি চেয়ে নেয়। পরে তিনি দুই ছেলেকে ঘরে রেখে অন্য একটি কাজের জন্য বাড়ির পেছনে যান। কিছুক্ষণ পর ঘর থেকে ছোট ছেলের আর্তচিৎকার শুনতে পান। ছুটে এসে দেখেন, দা হাতে আবদুল বারেক ঘর থেকে বের হচ্ছেন। তখন তিনি ঘরে গিয়ে দেখেন, মেঝেতে তাঁর ছেলে নাইম ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে রয়েছে। এ দৃশ্য দেখে তিনি চিৎকার শুরু করলে বারেক দ্রুত পালাতে শুরু করেন। এ সময় পাড়ার লোকজন চারপাশ থেকে ছুটে এসে বারেককে ধরে দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে শক্ত করে বেঁধে রাখেন।

সরেজমিন দেখা যায়, ঘটনাস্থলের কাছের একটি গাছের সঙ্গে মোটা দড়ি দিয়ে অভিযুক্ত আবদুল বারেককে পিঠমোড়া করে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাঁর পরনের সাদা গেঞ্জি ও লুঙ্গিতে রক্তের দাগ লেগে আছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা বারেককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সবার সামনে নাইমকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবদুল বারেক ঢাকার এক হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতেন। সেখান থেকে মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়িতে আসতেন। কিছুদিন বাড়িতে থেকে আবার চলে যেতেন। তিনি কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করতেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, নাইমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আবদুল বারেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। বারেক অপ্রকৃতিস্থ কি না, তা চিকিৎসক বলতে পারবেন।