দায়িত্ব নিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান

সিলেট সিটি করপোরেশনের বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দায়িত্ব হস্তান্তরের পর মেয়রের চেয়ারে বসেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। মঙ্গলবার বিকেলে নগর ভবনে
ছবি: প্রথম আলো

সিলেট সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটায় নগর ভবনে বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নবনির্বাচিত মেয়রের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। পরে নগর ভবন চত্বরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন মেয়রকে বরণ করে নেয় সিটি কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত ২১ জুন পঞ্চমবারের মতো সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। বিএনপি ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল। দলটির মনোনয়নে টানা দুবারের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দলীয় নির্দেশনা মেনে এবার নির্বাচনে অংশ নেননি।

আরও পড়ুন

নির্বাচিত হওয়ার পর ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ের শাপলা হলে এক অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামানকে শপথ পাঠ করান। তবে আরিফুল হক চৌধুরীর মেয়াদ শেষ না হওয়ায় তিনি দায়িত্ব নিতে পারেননি। আরিফুলের মেয়াদ শেষে আজ আনোয়ারুজ্জামান দায়িত্ব নেন। একই সঙ্গে নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররাও আজ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

দায়িত্ব হস্তান্তরের পর আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে বরণ করে নেওয়া হয়। এ পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এ সময় নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সদ্য বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে নতুন মেয়র ও বিদায়ী মেয়র প্রধান অতিথির হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।

দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে নবনির্বাচিত মেয়রকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিদায়ী মেয়র। মঙ্গলবার নগর ভবনে
ছবি: প্রথম আলো

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ইমরান আহমদ বলেন, ‘আগে দুবার মেয়র হিসেবে কামরান (বদরউদ্দিন আহমদ) ভাই ছিলেন। এরপর দুবার আরিফুল হক চৌধুরী তাঁর ছাপ রেখেছেন। আমি প্রত্যাশা রাখি, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও তাঁর ছাপ আরও গভীরভাবে রাখবেন।’

তিনি বলেন, আরিফুল হক সাহেব সিলেটকে অনেক সুন্দর করেছেন। রাস্তাঘাট বড় করেছেন। অনেক আলোকিত করেছেন। তবে বর্ষার সময় নগরে পানি ওঠে। কোথাও না কোথাও একটা গন্ডগোল আছে, যা হয়তো দেখা হয়নি। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জলাবদ্ধতার বিষয়টি দেখবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে সিলেটের স্থানীয় প্রশাসন, রাজনীতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ অনেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্ত ও জান্নাতুল নাজনীন। তবে অনুষ্ঠানস্থলে অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার আগে দুপুরে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন।