পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিকেবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিকেবাড়ি ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউপি সদস্য রাশেদুল হক ছোটখাটো নানা বিষয়ে যখন যাকে খুশি মারধর করে থাকেন। বিচার-সালিসের নাম করে মানুষ পেটান। গত শুক্রবার বিকেলে চুরির অভিযোগে এক যুবককে ধরে আনা হলে তিনি তাঁকে মারধর করেন। সেই মারধরের ভিডিও করছিলেন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবক। পরে ইউপি সদস্য প্রথমজনকে বাদ দিয়ে ভিডিও করতে থাকা যুবককে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রাশেদুল হক বলেন, ‘আমি একটা চোরের বিচার করছিলাম। এ পর্যন্ত সাতবার চুরি করেছে। আমার কাছে ধরাও পড়েছে। চুরি করার অভিযোগে তাকে পিটিয়ে শাস্তি দেওয়ার সময় পাশ থেকে ওই ছেলে ভিডিও করছিল। এ জন্য তাকেও পিটুনি দেওয়া হয়েছে।’

ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুসল্লী বলেন, ‘সারা দিন নানা কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এ ছাড়া কেউ আমাকে ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানায়নি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।’

এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’