শিবগঞ্জে বিএনপির ১৯৯ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা, গ্রেপ্তার ১
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির ১৯৯ নেতা–কর্মীকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।
শনিবার রাতে শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে ২৯ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৭০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই মামলার আসামি শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়ারেছকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান, শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল আলিম, আটমুল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মীর আবু জাকের ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, যুবদলের সভাপতি হুমায়ন কবির, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম প্রমুখ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও জানমাল রক্ষায় শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক বাজারে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে আসামিরা লাঠি ও ইটপাটকেল হাতে সরকারবিরোধী মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যাচ্ছিলেন।
পথে পুলিশ সদস্যরা তাঁদের লাঠি ও ইটপাটকেল ফেলে দিতে বলেন। এ সময় আসামিরা পুলিশের ওপর হামলা করেন। এতে পুলিশের উপপরিদরর্শক আরাফাত ও সহকারী উপপরিদর্শক রবিউল আহত হন। তাঁদেব শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, মামলার পর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপিসহ স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গত শুক্রবার শিবগঞ্জ উপজেলার আলিয়ার হাটে কেন্দ্রীয় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর উপস্থিতিতে দলটির পূর্বনির্ধারিত প্রতিবাদ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। একই সময়ে সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো পাল্টা কর্মসূচির আহ্বান করে। সহিংসতা এড়াতে উপজেলার ফুলতলা মমতাজুর রহমান আদর্শ কেজি অ্যান্ড হাইস্কুল মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ করে দলটি।
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ পুরোটায় সাজানো বলে অভিযোগ করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম।
তিনি বলেন, সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা–কর্মীদের পথে পথে বাধা দিয়েছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। কেন্দ্রীয় নেতাকে বরণ করতে নির্মাণ করা কয়েকটি তোরণ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এখন উল্টো পুলিশই বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে মামলা করেছে। পুলিশের ধরপাকড়ে বিএনপির নেতা–কর্মীরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।