অটোরিকশা ছিনতাই করতে ভাগনেকে হত্যা করেন মামা: পুলিশ

মুন্সিগঞ্জ জেলার মানচিত্র

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় অটোরিকশাচালক নেকবর হোসেনকে (২২) হত্যার ঘটনায় তাঁর মামাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে, অটোরিকশা ছিনতাই করতে এক সহযোগীকে নিয়ে নেকবরকে হত্যা করেন তাঁর মামা।

অটোরিকশাচালক নিহত নেকবর হোসেন সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চরগুলগুলিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ শাজাহান মিয়ার ছেলে। তাঁকে হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন নেকবরের মামা চরগুলগুলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ জাবেদ (৩৭) ও জাবেদের সহযোগী একই এলাকার রেজাউল করিম (২৭) ও কৃষ্ণনগর এলাকার মো. শাহজালাল (২৭)।

গত রোববার বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন নেকবর হোসেন। স্বজনেরা ওই রাতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি। পরদিন সকালে উপজেলার খাসকান্দি গ্রামের একটি ইটভাটার পাশ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত নেকবরের বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার একটি হত্যা মামলা করেন।

আজ বুধবার দুপুরে সিরাজদিখান প্রেসক্লাবে সাংবাদ সম্মেলন করেন সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান রিফাত ও থানার ওসি মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, লাশ উদ্ধারের পর নেকবরের মুঠোফোন ও অটোরিকশাটির হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। নেকবরের মামা জাবেদের কথাবার্তা অসংলগ্ন ছিল। জাবেদকে আটক করলে তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।

আসামিদের বরাত দিয়ে ওসি মো. মুজাহিদুল বলেন, জাবেদের টাকার প্রয়োজন ছিল। তিনি তাঁর সহযোগী রিকশামিস্ত্রি রেজাউলের সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ করেন। রোববার রাতে জাবেদ তাঁর ভাগনে নেকবরের অটোরিকশায় করে খাসকান্দি গ্রামে নির্জন ইটভাটার দিকে যান। ওই সময় রেজাউলও সঙ্গে ছিলেন। নেকবরের অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিতে জাবেদ নেকবরের গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করেন। পরে নেকবরের অটোরিকশাটি কৃষ্ণনগর এলাকার শাহজালালের কাছে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। সম্পূর্ণ ঘটনায় রেজাউল জাবেদকে সহযোগিতা করেন। গতকাল দুপুরে ওই তিন আসামিকে আদালতে তোলা হয়। তাঁরা ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।