পঞ্চগড়ে ভাঙারির দোকানে পাওয়া মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী

পঞ্চগড়ে ভাঙারির দোকানে পাওয়া মর্টার শেলটি ধ্বংস করে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট। বৃহস্পতিবার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের হুলাসুজোত এলাকায়ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ভাঙারির দোকান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের হুলাসুজোত এলাকায় একটি ভুট্টাখেতের পাশে মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

সেনাবাহিনীর রংপুর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের মেজর আবদুল্লাহ আল সায়েমের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল মর্টার শেলটি ধ্বংস করে। এ সময় মর্টার শেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। সেখানে তেঁতুলিয়া মডেল থানার একদল পুলিশ উপস্থিত ছিল। মর্টার শেলটি ভারত, ভুটান ও নেপাল থেকে আসা কোনো পাথরের গাড়িতে এসেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

এদিকে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করা হবে—স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে তা দেখতে আশপাশের শত শত মানুষ সেখানে ভিড় করেন। এ সময় তাঁদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দিয়ে দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়।

১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে ‘মেসার্স রুপা ট্রেডার্স’ নামের একটি ভাঙারি দোকানে বিভিন্ন এলাকা থেকে কেনা লোহা ও ভাঙারির মালামাল বিক্রি করেন আরেক ভাঙারি ব্যবসায়ী। পরে রুপা ট্রেডার্সের মালিক রফিকুল ইসলাম অন্য মালামালের সঙ্গে মর্টার শেলটি পান। মরিচা পরিষ্কারের সময় স্থানীয় ব্যক্তিরা এটিকে বোমা বলে সন্দেহ করেন। রফিকুল ইসলাম বিষয়টি থানা–পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ মর্টার শেলটি দোকানের ভেতরে একটি গর্ত করে বালুর বস্তা দিয়ে চাপা দিয়ে রাখে এবং সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে জানায়।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, মর্টার শেলটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় ছিল। ভারত, ভুটান কিংবা নেপাল থেকে আমদানি করা পাথরের সঙ্গে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মর্টার শেলটি উদ্ধারের পর সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে জানিয়েছিল পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মর্টার শেলটি ধ্বংস করা হয়েছে।