নাটোরে মুদিদোকানির বাড়িতে পাওয়া গেল টিসিবির ৩৫০ লিটার সয়াবিন
নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিলদহর বাজারের এক মুদিদোকানির বাড়ি থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ৩৫০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার বিকেলে শাহ আলম খন্দকার (২৮) নামের ওই দোকানির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই তেল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ওই দোকানিকে আটক করা হয়েছে।
র্যাবের নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সঞ্জয় কুমার সরকার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। আটক দোকানির স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে র্যাবের কর্মকর্তারা জানান, ২ লিটারের ১৭৫ বোতল সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে। গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার রিপন আলীর কাছ থেকে গত বুধবার রাতে বোতলগুলো কিনেছিলেন ওই দোকানি।
র্যাব ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ বেলা ১১টার দিকে বোতলজাত ওই তেল ড্রামে ঢালছিলেন শাহ আলম। বিষয়টি দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হলে এলাকার কেউ একজন র্যাবকে খবর দেন। বেলা তিনটার দিকে র্যাবের সদস্যরা শাহ আলমের বাড়ি ঘেরাও করেন। পরে শাহ আলমের দেওয়া তথ্যমতে, বাড়ির টয়লেট ও খড়ি রাখার একটি ঘর থেকে ২ লিটারের ১১০টি বোতল ও ৬৫টি খালি বোতল জব্দ করা হয়। পরে তাঁর দোকান ১৩০ লিটার তেলভর্তি একটি ড্রাম জব্দ করে র্যাব।
র্যাবের অভিযানের সময় শাহ আলম খন্দকার বলেন, টিসিবির ডিলার রিপন আলীর সঙ্গে পরিচয় ও সুসম্পর্কের কারণে প্রতি ২ লিটারের বোতলজাত তেল ২৯০ টাকায় কিনেছেন তিনি। বাড়তি লাভের আশায় টিসিবির তেল কিনেছেন বলে তিনি স্বীকার করেন।
তবে ডিলার রিপন আলী তেল বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, শাহ আলম খন্দকারের কাছে তিনি কোনো তেল বিক্রি করেননি। তাঁকে ফাঁসাতে ওই দোকানি তাঁর নাম নিচ্ছেন। তা ছাড়া ৩১ জানুয়ারি সবশেষ নাজিরপুর ইউনিয়নের টিসিবির পণ্য সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করেছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও তদারকি কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্রও নিয়েছেন।
নাজিরপুর ইউপির চেয়ারম্যান আয়ুব আলী প্রথম আলোকে বলেন, ৩১ জানুয়ারি টিসিবির কার্ডধারীদের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে তেল, চাল ও ডাল বিতরণ করেছেন ডিলার। তাঁকে এ ব্যাপারে প্রত্যয়নপত্রও দেওয়া হয়েছে।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টিসিবির ডিলার রিপন আলীর কাছ থেকে তেল কেনার কথা স্বীকার করেছেন দোকানি শাহ আলম। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও কয়েকটি জায়গায় অবৈধভাবে মজুত করে রাখা টিসিবির পণ্য উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটক করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।