রংপুরে সড়ক বিভাজকের স্টিলের বেষ্টনীতে বিদ্যুতায়িত হয়ে তরুণের মৃত্যু

রংপুর নগরের সিটি বাজারের এই পদচারী–সেতুর নিচে গতকাল রাতে বিদ্যুতায়িত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়ছবি: প্রথম আলো

রংপুর নগরে সড়ক বিভাজকে স্টিলের বেষ্টনীতে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক তরুণ মারা গেছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মৃত বিনোদ চন্দ্র দেবনাথ নগরের সিলমন জুগিপাড়ার পুলিন চন্দ্র দেবনাথের ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতে সিটি বাজার থেকে খাবার খেয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় সড়ক বিভাজকের স্টিলে হাত দেন বিনোদ। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতায়িত হলে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বিদ্যুতায়িত হয়ে তরুণের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বিনোদের প্রতিবেশী অগিন চন্দ্র দেবনাথ প্রথম আলোকে বলেন, বিনোদ কিছুদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন।

তবে ওই তরুণের কীভাবে মৃত্যু হলো, তা এখনো নিশ্চিত নয় রংপুর সিটি করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ফায়ার সার্ভিস এ বিষয়ে জানে না বলে জানিয়েছে। হাসপাতাল ও পুলিশের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।

অবশ্য সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) লোকজনকে বিদ্যুৎ–সংযোগের ত্রুটি–বিচ্যুতি খুঁজতে দেখা গেল। সেখানে কথা হয় নেসকোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁরা এখনো সংযোগের ত্রুটি খুঁজে পাননি। তবে সড়ক বিভাজকের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো ও পথচারী–সেতুতে অসংখ্য ব্যানার-ফেস্টুন লাগানোয় বাইন্ডিং তারের সঙ্গে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ হয়েছে কি না, এটা খুঁজে দেখছেন তাঁরা। নেসকোর এই উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এসব ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণে সিটি করপোরেশনকে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বলেন।