রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, জলমগ্ন রাস্তায় মাছ শিকার

মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সড়ক জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রোববার সন্ধ্যায় নগরের শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বরে
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীতে আজ রোববার বিকেলে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে নগরের নিচু এলাকাগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। এরই মধ্যে জলমগ্ন রাস্তায় মশারি দিয়ে অনেকেই মাছ শিকারে নেমে পড়েন।

আজ রোববার বিকেল চারটার দিকে তুমুল বৃষ্টি নামে। চলে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। সঙ্গে ছিল মেঘের গর্জন ও বজ্রপাত। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া কার্যালয়।

রাজশাহীর আবহাওয়া কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সকাল থেকে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হয়। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। ২৪ ঘণ্টায় ২২ থেকে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে তাঁকে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত ধরা হয়। রোববার রাজশাহীতে এমন বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর ৩০ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল।

বৃষ্টির পর নগরের মহিষবাথান এলাকায় রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। পানির সঙ্গে মাছও রাস্তায় উঠে আসে। ওই এলাকার মানুষ মশারি দিয়ে রাস্তায় মাছ ধরেছেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মহিষবাথান কবরস্থানের সামনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনকে মাছ ধরতে দেখা যায়।

ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাস্তায় মশারি দিয়ে মাছ ধরছেন কয়েকজন বাসিন্দা। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নগরের মহিষবাথান এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

এ ছাড়া নগরের বর্ণালী মোড় এলাকায় প্রধান সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে। বর্ণালী মোড় থেকে সাহেব বাজারের দিকে নেমে যাওয়া রাস্তাটিও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বর্ণালী মোড় থেকে পূর্বে কাদিরগঞ্জ হয়ে দড়িখড়বোনা-রেলগেট সড়কেও হাঁটুসমান পানি জমে।

নগরের উপশহর, ভদ্রাসহ মূল শহরের বাইরের এলাকাগুলোও জলাবদ্ধ হয়ে যায়। এতে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

নগরের শালবাগান এলাকার বাসিন্দা গাজী সালাহ উদ্দিন বলেন, তাঁদের এলাকার সব গলিতে পানি জমেছে।

রাত সোয়া আটটার দিকে নগরের মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান বলেন, এলাকার মানুষ এখনো মশারি দিয়ে মাছ ধরছেন।