আশুগঞ্জে অবৈধভাবে চলছিল সিসা কারখানা, ৩ চীনা নাগরিকসহ ছয়জনের কারাদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় অবৈধভাবে সীসা কারখানা পরিচালানার দায়ে তিন চীনা নাগরিকসহ ছয়জনকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অবৈধভাবে সিসা কারখানা পরিচালনার অভিযোগে তিন চীনা নাগরিকসহ ছয়জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই কারখানাকে বন্ধের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাফে মোহাম্মদ ছড়া এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন চীনা নাগরিক ঝানা ইয়াংলিয়াং (৪৪), ঝু শিংলিয়া (৪১), সান বেনহুয়া (৬৩), বাংলাদেশি নাগরিক মো. ইফতেয়ার সিকদার (৩৩),  মো. সোহাগ মিয়া (২৫) ও মো. দিদার (২৬)। তাঁদের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় অবৈধভাবে একটি সিসা কারখানার কার্যক্রম চলছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ আসে। কারখানায় নিয়মিত সিসা গলানোর কার্যক্রমের জন্য এলাকার পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে যৌথভাবে ওই সিসা কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

সিসা কারখানা পরিচালনার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র না থাকায় তিনজন চীনা নাগরিকসহ ছয়জনকে আটক করে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রাখিবুল হাসান, আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রাখিবুল হাসান জানান, আশুগঞ্জের সোনারামপুর এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে সিসা কারখানা স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছিল। এভাবে তাঁরা কোনোভাবেই সিসা কারখানা স্থাপন করতে পারেন না। সেখান থেকে সিসা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো। সেই কারখানায় সিসা গলানোর কার্যক্রমের জন্য পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ছয়জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সিসা গলানোর কারণে আশপাশে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল।

রাখিবুল হাসান আরও বলেন, অভিযান পরিচালনার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কারখানার খোলার অনুমতি, পরিবেশের ছাড়পত্র বা কোনো ধরনের ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। একজন চীনা নাগরিক ওই কারখানার মালিক। স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জায়গাটি ভাড়া নিয়ে কারখানা স্থাপন করেছেন। কারখানা মালিক সামনে আসেননি। জায়গার মালিককে সেখান থেকে কারখানা সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে জরিমানাসহ কারখানা সিলগালা করা হবে।