জামায়াত থেকে এসে মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি, গ্রেপ্তার হলেন নাশকতার মামলায়
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নাশকতা মামলায় আবদুল আজিজ নামের মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে লোহাগাড়া ইউনিয়নের খান মোহাম্মদ সিকদার পাড়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক জামায়াত নেতা আবদুল আজিজ ২০২২ সালের এপ্রিলে মৎস্যজীবী লীগে যোগ দেন। এরপর তিনি সদর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি হন। তিনি সদর ইউনিয়নের মজিদার পাড়া এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা বলছেন, জামায়াতে থাকাকালীন আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, বোমা নিক্ষেপের মতো ঘটনায় একাধিক মামলা করেছে পুলিশ। পরে দল পাল্টালেও পুরোনো মামলায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রিদওয়ানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল আজিজ জামায়াতের দুর্ধর্ষ ক্যাডার ছিলেন। তিনি ২০১৩ সালে আমিরাবাদ ইউনিয়নে নাশকতা মামলা, ২০১৩ সালে পুলিশ হত্যা মামলা, বড়হাতিয়া ইউনিয়নে এনামুল হক লালু হত্যা মামলা, পদুয়া ইউনিয়নে পেট্রলপাম্পে অগ্নিসংযোগ মামলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে পেট্রলবোমা হামলা মামলার আসামি।
রিদওয়ানুল হক আরও বলেন, ‘একজন চিহ্নিত জামায়াত ক্যাডার হওয়া সত্ত্বেও ত্যাগী নেতা–কর্মীদের মূল্যায়ন না করে গত বছর আবদুল আজিজকে সদর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি করা হয়। আমরা ওই সময় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেননি। আবদুল আজিজকে মৎস্যজীবী লীগে পুনর্বাসন করতে যেসব আওয়ামী লীগ নেতা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলের নীতিনির্ধারকের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে জানতে লোহাগাড়া উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি পারিবারিক অনুষ্ঠানে ব্যস্ত আছেন বলে সংযোগ কেটে দেন।
লোহাগাড়া থানার এএসআই আল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৩ সালের একটি নাশকতা মামলায় আবদুল আজিজের সাজা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দীর্ঘদিন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে তাঁকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।